বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কলম বিরতির দ্বিতীয় দিন, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

মনির হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি : এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে পালিত হলো দ্বিতীয় দিনের ‘কলম বিরতি’। বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ও চেকপোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা চালু ছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কাস্টমস হাউজে কোন কাজ হয়নি। কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দেখা যায়নি। দু‘একজন উপস্থিত থাকলেও তারা কোন কাজ করেননি। কাস্টম হাউসের প্রধান ফটকে কলম বিরতির ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। বেলা ১টার পর থেকে পুনরায় কাজ করছে কাস্টমসের কর্মকর্তারা। বেলা ৫টা পর্যন্ত টানা কাজ চালু রাখার ঘোষনা দিয়েছে তারা।
তবে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। কলম বিরতির কারণে নতুন করে কোন পণ্যের আইজিএম ইস্যু করা হয়নি। আগের ইস্যু করা আইজিএমের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে। বেলা ১টার পর থেকে আইজিএম ইস্যু করা হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, কাস্টমসের কলম বিরতির কারণে সকাল ১০টা থেকে হাউজে কোন ফাইলে কাজ হয়নি। তবে ১টার পর কাজ শুরু হয়েছে। টানা ৫টা পর্যন্ত কাজ করবে বলে তারা জানিয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান , এনবিআর ইউনিট কাউন্সিল অধ্যাদেশটি বাতিল চাই। কারণ এনবিআর উপদেষ্টা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। ইউনিটের সাথে কমিটির আলোচনা ও অধ্যাদেশ প্রতিফলিত হয়নি। এনবিআরকে ভেঙ্গে জাতীয় রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই দুটি ভাগে ভাগ করছেন সরকার। দু‘ভাগে বিভক্ত করার কারণেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই দেশের অন্যান্য কাস্টমস হাউসের ন্যায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসেও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। দাবী আদায় না পর্যন্ত এই কলমবিরতি চলবে। তিনি বলেন, শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলম-বিরতি পালন করা হবে।