ভাঙ্গুড়ায় আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত

মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবছর ধরে বর্নাঢ্য আয়োজনে হাজরা উৎসব ও চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চড়ক পূজা উপলক্ষে আজ সোমবার এখানে গ্রাম্য মেলায় পরিণত হয়েছে। তন্ত্র মন্ত্রকে সাধন করে সন্যাসী সাগর এছাড়া খোকন চন্দ্র তেলির পিঠে লোহার তৈরি দুইটি বড়শি জাতিয় হুক লাগিয়ে দেন। এতে করে কোন বিন্দু পরিমাণ রক্ত বের হয় না। চড়ক পূজা উপলক্ষে সেখানে প্রচুর পরিমাণে মুসলমান ধর্মাবলম্বি ব্যক্তিরা চড়ক পূজা দেখার জন্য ভিড় জমায়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ চৈত্র সংক্রান্তিতে হাজরা উৎসব ও চড়ক পূজা পালন করে থাকেন। চৈত্র মাসের শেষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ মূলত এই পূজা করেন। তন্ত্র মন্ত্রকে সাধন করে সন্যাসি মানতকারি ব্যক্তিদের বাবলা কাঠের তৈরি চড়কে একজন মানুষের পিঠে লোহার তৈরি বড়শি জাতিয় হুক লাগিয়ে চড়কির মতো তাকে ঘুরাতে থাকেন।
সন্যাসি সাধন চন্দ্র তন্ত্রমন্ত্রকে সাধন করে খোকন চন্দ্র তেলির পিঠে বড়শি জাতিয় লোহার রড দিয়ে তৈরি হুক ঢুকিয়ে চড়কে ওঠান।চড়কে চড়া ওই ব্যক্তিকে বাতাসা ছিটিয়ে দিলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তরা তা তুলে খেয়ে থাকেন। চড়কে চড়া ব্যক্তি চড়ক ঘুরানোর সময় ব্যাথা অনুভব না করে আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। এসব নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ন কসরত দেখানোর সময় তাদের শরীরে ব্যাথা লাগেনা এবং রক্তও ঝড়েনা বলে জানান তারা। এছাড়া বাবলা কাঠের দগদগে লাল আগুনে খালি পায়ে বেশ কয়েকজনকে হেঁটে বেড়াতে দেখা গেছে।
চড়ক পূজা কমিটির সভাপতি সমর ঘোষ বলেন, ভগবানের সন্তুষ্টি লাভের আশায় মূলত এই হাজরা উৎসব বা চড়ক পূজা হয়ে থাকে। এটা মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা ধর্মীয় উৎসব। আমাদের বাপ-দাদারা সেই আমল থেকে চড়ক উৎসব পালন করে আসছেন। তিনি বলেন,শতবছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ঠাকুর বাড়ির প্রাঙ্গণে এই উৎসব পালিত হচ্ছে। এখানে প্রতি বছরই চড়ক দেখতে আসা ভক্তদের সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবারে চড়ক পূজা পরিদর্শন করেন, দিলপাশার ইউনিয়ন বিএনপির আহব্বায়ক মোঃ লিয়াকত আলী লিটন,সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ নান্নু খন্দকার, দৈনিক ইতিহাসের প্রতিনিধি সাংবাদিক সুজন আহমেদ, উপস্থিত ছিলেন দেবু চক্রবর্তীসহ অনেক ভক্তবৃন্দ।