শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে অস্ত্রসহ যুবদলের দুই নেতা আটক ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় ইন্সট্রাকটরকে মারধোর ঝিকরগাছা গদখালী ফেব্রুয়ারির ৩দিবসে শতকোটি টাকা আয়ের আশা চাষীদের কোনাবাড়ীতে আরও এক ছিনতাই কারী গ্রেফতার প্রতিটি সফল আন্দোলনের পেছনে ছাত্রছাত্রীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল,এম মঞ্জুরুল করিম রনি বশেমুরকৃবি’তে আনন্দ-উৎফুল্লে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার:ধর্মঘটে দ্বিতীয় দিনেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ লালমনিরহাটে জুই হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ- পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি টেন্ডার বাক্স লুটের মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

লালমনিরহাটে বুড়িমারী স্হলবন্দরে শ্রমিকদের সংঘর্ষে সাংবাদিক আহত-১০

রিপোর্টারের নাম : / ৯২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন ১০জন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়াশেল নিক্ষেপ করে। কয়েক ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন ইউএনও নুরুল ইসলাম। ফলশ্রুতি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে পাটগ্রাম বুড়িমারী সড়কে। মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ রয়েছেন পাটগ্রাম ইউএনও নুরুল ইসলাম।

স্থানীয় ও শ্রমিকরা জানান, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের পন্য লোড আনলোডে শ্রমিকদের পাওনা টাকা শ্রমিক সর্দাররা পকেটস্থ করেছেন বলে দীর্ঘ দিন ধরে সেই পাওনা আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন সাধারন শ্রমিকরা। বেশ কয়েক দফায় মানববন্ধন আর অবরোধ করেন শ্রমিকরা। প্রতিবারই আশ্বাস দেয়া হলেও সাধারন শ্রমিকদের ঘাম ঝড়ানো মজুরীর বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি। ফলে ভুসে উঠেন সাধারন শ্রমিকরা। সোমবার(১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পন্য লোড আনলোড বন্ধ করেন শ্রমিকরা। ফলে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ী আর ভারতীয় ট্রাক চালকরা। পাওয়া আদায় ও শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মত পন্য লোড আনলোড বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যান সাধারন শ্রমিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাধারন শ্রমিকদের উপর হামলা চালায় সর্দার গ্রুপের লোকজন। পরে তা লাঠিসোটা আর দেশি অস্ত্রের সংঘর্ষে রুপ নেয়। চলে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দুই গ্রুপেই পাথর ছুড়ে মারে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক পর্যয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুরেট ছুড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। পাথরের আঘাতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে আশংকা জনক অবস্থায় তাদের ৩জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে চলে যান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নুরুল ইসলাম। তাকে উদ্দিন সংঘ নিরোধ অফিসে দুপুর ১২টা থেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে পুলিশ, ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার(ভুমি)।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। আমি নিজেও দুপুর ১২টার পর থেকে অবরুদ্ধ রয়েছি। এসি ল্যান্ডসহ পুলিশ বাহিরে চেষ্টা করছে। কি পরিমান রাবার বুলেট বা টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এ মুহুর্তে বলতে পারছি না। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর