বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন

শ্রীপুরে চার বছরের শিশুর গায়ে সৎ বাবার গরম ছুরির ছ্যাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে সৎ বাবা ছুরি গরম করে শিশু মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাবাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। রবিবার (৯ মার্চ) রাত ১১টায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল তাঁকে এ দন্ড দেন।

শিশু মানহা আক্তার বিবি মরিয়ম (৪) মনির হোসেন ও রুমি আক্তার দম্পত্তির মেয়ে।

অভিযুক্ত শামসুজ্জামান মান্নান (৩৫) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার তালুয়াচাদপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে। সে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর-মাওনা সড়কের মুন্সিবাড়ী এলাকার বাড়ীতে স্ত্রী ও ওই মেয়েকে নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন।

শিশুর মা রুমি আক্তার জানান, টিকটকের মাধ্যমে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার তালুয়াচাদপুর গ্রামের শামসুজ্জামান মান্নানের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। পরে পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে গত চার মাস আগে মেয়েকে নিয়ে তাকে বিয়ে করে শ্রীপুরে বসবাস করতে থাকে। গত শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে তার স্বামী চাকু গরম করে শিশু মরিয়মের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। শিশুর চিৎকার শুনে ছুটে এসে প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করে। ঘটনার দুইদিন পর রবিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা অভিযুক্ত সৎ বাবাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে আহত শিশুকে স্থানীয় ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তবে ক্ষত স্থানে সংক্রমীত (ইনফেকশন) দেখা দেয়ায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত শামসুজ্জামান মান্নান বলেন, তিনি নেশাগ্রস্ত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন শিশু মেয়েকে ডাক দিয়েছিলাম। সে কথা না শুনায় তিনি ছুরি গরম করে শিশুর শরীরে ছ্যাঁকা দিয়েছেন। তিনি তার অপরাধ স্বীকার করে বলেন এ কাজ করা ঠিক হয়নি।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, স্থানীয় লোকজন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারান্ড প্রদান করা হয়।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং স্থানীয়দের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাদের প্রচেষ্টায় অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর