রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড বিতরণে অর্থ নেয়ার অভিযোগ জনস্বার্থে ভয়েস অব কাজিপুরের ১১৫ টি নলকূপ স্থাপন  বেনাপোলে ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ভায়াগ্রা পাউডার আটক লালমনিরহাটে গরু বাঁচাতে মা ছেলের মৃত্যু ধর্ষণ চেষ্টার আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কাজিপুরে ১১৫ টি নলকূপ স্থাপন  সলঙ্গায় চাঁদা চাওয়ায় যুবদল ও কৃষক দলের ৩ নেতাকে গণপিটুনি শার্শার লক্ষণপুর মাদ্রাসার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নৈশ প্রহরীর মৃত্যু তিন দিনে ৭ জন ছুরিকাহত যশোরে কথায় কথায় ছুরি চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা বাগুড়ী বেলতলায় হিমসাগর আমের ছড়াছড়ি’ পরিদর্শন ইউএনও’

সলঙ্গায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড বিতরণে অর্থ নেয়ার অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম : / ৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদে স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড (টিসিবি) বিতরণে জন প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তাদের বিনামূল্যে দেবার কথা থাকলেও তা টাকা ছাড়া দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার (১৭ মে) দিন ব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিলনের অনুমতি ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড বিতরণের সময় ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানাযায়,রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের অনলাইনে মাধ্যমে ফ্যামলী স্মার্ট কার্ড একটিভ করে  ৬৩৪ জন কার্ডধারী মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিষদের ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান ট্যাক্স আদায়কারী পাবেল ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিলনের ব্যক্তিগত সহকারী সাকাওয়াত হোসেনকে সাথে নিয়ে জন প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে কার্ডধারীর ভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার্ড দিচ্ছে। যারা টাকা দিচ্ছেন না তাদের নানান কথা হলে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিলনের ব্যক্তিগত সহকারী সাকাওয়াত হোসেনকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কাজকর্ম করিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।

স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড ভোক্তা শাহ আলম,নাসির উদ্দিনসহ অনেকেই জানান,ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিলনের নির্দেশে কার্ডধারীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কি জন্য টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত সহকারী সাকাওয়াত হোসেন বলেন টাকা না দিলে কোন কার্ড এ্যক্টিভ হবে না।

ঘুড়কা ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ও স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড (টিসিবি) ভোক্তা আবু সাঈদ শেখ বলেন, কার্ড অনলাইন করার জন্য প্রথমে ১০০ টাকা করে দিয়ে অনলাইন করা হয়েছে । তারপর আবার বাড়ীতে গিয়ে বাড়ীর ট্যাক্স নিয়ে এসেছে তারপরও আবার টিসিবি কার্ড বিতরন করতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে, এটা আমি জানতে চাই কি জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।

ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব সচিব আব্দুল কাদের মিলন টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা স্মার্ট ফ্যামলী কার্ডের টাকা নিচ্ছি না,ট্যাক্সের টাকা নিচ্ছি।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ন কবির বলেন,স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। অভিযোগ পাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর