বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে

সলঙ্গা গণহত্যা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ২২৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২

আজ সলঙ্গা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামে নির্মম গণহত্যা চালায় পাক হানাদার বাহিনী।

এদিন পাকিস্তানি সৈন্যরা প্রায় দুই শতাধিক মুক্তিকামী নিরীহ বাঙালিকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করেন। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাবনা জেলার কাশিনাথপুর ডাব বাগান নামক স্থানে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধে অর্ধশতাধিক হানাদার নিহত হন।

এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে হানাদার বাহিনী ২৫ এপ্রিল সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে কাশিনাথপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। পথে বগুড়া-নগরবাড়ী সড়কের সলঙ্গা থানার চড়িয়া শিকার নামক এলাকায় ব্যারিকেডের মুখে তারা যাত্রা বিরতি করেন। তারা সন্ধান পান চড়িয়া শিকারের পূর্ব দক্ষিণ পাশে অন্য একটি কাশিনাথপুর গ্রামের। এ গ্রামকেই পাবনা জেলার কাশিনাথপুর মনে করে পাকিস্তানি বাহিনী খুঁজতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি।

তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় সন্ধান পান চড়িয়া মধ্যপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ঘাঁটির। তখনগ্রামের নিরীহ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। পাকবাহিনী সুর্যোদয়ের পূর্ব হতে গুলি চালাতে শুরু করেন এবং সকাল ৯টা পর্যন্ত গুলি চালান। ভস্মীভূত করে দেন এলাকার ঘর-বাড়ি। ওইদিন বিকেলে তারা চড়িয়া শিকারসহ আশেপাশের ৫/৭টি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মুক্তিকামী মানুষকে আটকের পর দু’লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।

এ গণহত্যার শিকার পাটধারী গ্রামের ২৯ জন, কালীবাড়ী গ্রামের ১৩ জন, শিকার মগপাড়া গ্রামের ৮ জন, চড়িয়া শিকার দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ১০ জন, গোলকপুর গ্রামের ৫ জন, কাচিয়ার গ্রামের ১ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়। বাকীদের পরিচয় এখন পর্যন্তও জানা যায়নি। প্রতি বছর দিবসটি পালন উপলক্ষে কোরআন খতম, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর