সলঙ্গা থানা বিএনপির নেতৃত্ব এখন রাজাকারপুত্র ও মাদক কারবারির হাতে!
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় রাজাকারপুত্র আব্দুল আলীম সরকার ও মাদককারবারি আব্দুল মজিদকে দিয়ে থানা বিএনপির আংশিক
কমিটি ঘোঘণা দেওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন নেতা-কর্মীরা!
বিতর্কিত এ আংশিক কমিটি ঘোষনার পর থেকে একদিকে চলছে আনন্দ মিছিল আরেকদিকে চলছে বিক্ষুব্ধ ৫টি ইউনিয়ন
বিএনপির নির্বাচিত নেতৃবন্দসহ আংশিক কমিটির ৬ সদস্যের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি,যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও
সাংগঠনিক সম্পাদকদের যৌথ বৈঠক এবং পদত্যাগের আলটিমেটাম ।
বিক্ষুব্ধ ৫টি ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকদের দাবী,ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হয়েছেন, একইভাবে থানা বিএনপির নেতৃত্ব তৈরির জন্য সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।
কিন্তু তা না করে জেলা বিএনপি গত ২৪ সেপ্টেম্বর-২২ইং রাত ৮টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মতিয়ার রহমান
সরকারকে সভাপতি,এসএম গোলাম হোসেনকে সিনিয়র সহসভাপতি, রাজাকারপুত্র আব্দুল আলীম সরকারকে সাধারণ
সম্পাদক,আব্দুল লতিফ সরকারকে সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও হেদায়েতুল হক আইয়ুব ও মাদক কারবারি আব্দুল
মজিদকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে।
আংশিক কমিটির খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় সলঙ্গা থানা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীসহ সলঙ্গা, হাটিকুমরুল, রামকৃষ্ণপুর,ধুবিল ও নলকা ইউনিয়নের নেতারা ২৫ সেপ্টেম্বর ২২ সলঙ্গা বাজারের মাদ্রাসা মোড়ে অবস্থিত একটি হোটেলে বৈঠক করে এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।
একই সঙ্গে এ বৈঠকে উপস্থিত থেকে ৬ সদস্যের আংশিক কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এসএম গোলাম হোসেন,সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল হক আইয়ুব পদ ত্যাগের ঘোষনা দেন।
তাদের দাবী রাজাকারপুত্র ও মাদক কারবারিদের দিয়ে ঘোষিত এ কমিটিতে তাদের নাম ঘোষণা করে তাদেরকে বিতর্কিত করাসহ
তাদের দীর্ঘদিনের রাজনীতি কলঙ্কিত করা হয়েছে। তাদের দাবী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায়
রাজাকারপুত্র আব্দুল আলীম সরকারকে নিয়ে ইতোপূর্বে দুর্জয় বাংলাদেশ ও দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদ
প্রকাশিত হয়।
এতে সে সময় বিএনপির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন চরমভাবে হয়েছে। একইভাবে আব্দুল মজিদ ফেন্সিডিল ও হেরোইন কারবারির সাথে
জড়িত থাকায় পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা তাকে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন রোডের জুয়েল গেস্ট হাউজ থেকে
সাম্প্রতিক সময়ে হেরোইনসহ আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তখন থেকে তার নামটি এলাকায় ডাল মজিদ হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় তাকে বিএনপি নেতা হিসেবে না চিনলেও তাকে ডাল মজিদ
হিসেবে সব মানুষই চেনেন। ডাল মজিদের কারণে সলঙ্গায় বিএনপির মর্যাদাও ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।
অপরদিকে রাজনৈতিক এসংকটকালে এসকল বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি ঘোষনা দেওয়ায় সলঙ্গা থানা বিএনপির রাজনীতি নতুনভাবে ধ্বংসের মুখে ধাবিত হলো বলে সলঙ্গা,হাটিকুমরুল,ধুবিল, রামকৃষ্ণপুর ও নলকা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি ও যুগ্নসাধারণ সম্পাদকসহ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী আংশিক কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এসএম গোলাম হোসেন,সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল হক আইয়ুবসহ সলঙ্গা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
ইউনিয়নের এসকল নেতারা আংশিক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জানান তারা যে পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়েছেন সে পদ্ধিত অনুস্বরণ করে কমিটি দেওয়া না পর্যন্ত তারা একমিটির কোন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকবেন না বলেও ঘোষণা করেছেন।