বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী!

১৯ দিন পর কারামুক্ত বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডল

রিপোর্টারের নাম : / ১৭৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

ধর্ম অবমাননার মামলায় গ্রেপ্তারের ১৯ দিন পর কারামুক্ত হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল।

ধর্ম অবমাননার মামলায় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ১৯ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

এর আগে বেলা সোয়া একটার দিকে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে তিনি কারামুক্ত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আবুল বাশার।

গত ২৩ ও ২৮ মার্চ আদালতে হৃদয় মণ্ডলের জামিন চাওয়া হয়েছিল। সে সময় আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হৃদয় মণ্ডলের গ্রেপ্তারের ঘটনার বিষয়ে বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে তাঁর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন হয়। এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েকজন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। পরদিন সকালে তাঁরা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমিও এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। অনেক আগে থেকেই হৃদয় স্যারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাঁর মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল। ধর্মান্ধতার বিষয়টি কখনো দেখিনি। তিনি কখনো কোনো ধর্মকে ছোট করে কথা বলতেন না। ধর্মীয় রীতিনীতি কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন না।’ তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর