রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার কোনাবাড়ীতে বিভিন্ন দাবি নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কর্মবিরতী সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এরান্দহ পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু শ্রমিকের আত্মহত্যা কারখানা কর্তৃপক্ষের শোক দুই কর্মকর্তা অব্যাহতি ডা. শফিকুর রহমান যারা দেশকে ভালবাসে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না! যশোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে কলেজ ছাত্র আটক ভাঙ্গুড়ায় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার উল্লাপাড়ায় ট্রাক ও মাইক্রোবাস সংর্ঘষে নিহত ২ জন আহত ১ চরবাসীর দুঃখ ঘোচাতে অনবদ্য ছুটে চলছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদ ভাংচুরের ঘটনায় আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

পদ্মা সেতুতে তিন বিশ্বরেকর্ড

রিপোর্টারের নাম : / ২৮৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু দেশের দীর্ঘতম সেতু। পানিপ্রবাহের দিক থেকে অ্যামাজনের পর পদ্মা নদীই বিশ্বে বৃহত্তম। প্রমত্তা পদ্মায় সেতু তৈরিতে তিন-তিনটি বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। কারিগরি ও প্রাকৃতিক বাধা জয় করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক নয়, সেতুটি অভূতপূর্ব।

পদ্মা সেতুতে পিলারের (খুঁটি) সংখ্যা ৪২। দুটি পিলার নদীর দুই তীরে। বাকি ৪০টি নদীর পানিতে। পিলার নির্মাণে ৯৮ থেকে ১২২ মিটার গভীর পাইলিং করা হয়েছে, যা বিশ্বরেকর্ড। কোনো সেতু নির্মাণে এত গভীর পাইলিং করতে হয়নি। পদ্মা সেতুর পাইলগুলো তিন মিটার ব্যাসার্ধের। অন্য কোনো সেতুর পাইলের ব্যাসার্ধও এত নয়। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পাইল ৫০ মিলিমিটার পুরু স্টিলের পাইপে মোড়া। হাইড্রোলিক হ্যামারের মাধ্যমে পিটিয়ে পাইল পাইপগুলো নদীতে পোঁতা হয়েছে। বিশ্বে কোনো সেতু নির্মাণে এত গভীরে স্টিল পাইপ পুঁততে হয়নি।

সেতুর দুই তীরে পিলারে পাইলের সংখ্যা ১২টি করে। নদীতে ৪০টি পিলার নির্মাণে প্রতিটিতে ছয়টি করে পাইল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ১০০ মিটার গভীরেও পাথরের স্তর না পাওয়ায় ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নম্বর পিলারে একটি করে বাড়তি পাইল করতে হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতুর জন্য সব মিলিয়ে ২৮০টি পাইল করতে হয়েছে।

পদ্মা সেতু আরেক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বিয়ারিংয়ের ক্ষমতায়। পিলার ও সেতুর নিচের অংশের (লোয়ার ডেক) পাটাতনের মাঝে রয়েছে ১০ হাজার টনের ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’। এত শক্তিশালী বিয়ারিং পৃথিবীর আর কোনো সেতুতে নেই। বিয়ারিংয়ের সক্ষমতার কারণে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকবে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু নির্মাণে নদীর দুই তীরে ১৪ কিলোমিটার তীর বাঁধানো হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে নদীশাসনে। এত বেশি ব্যয় আর কোনো সেতু তৈরির নদীশাসনে করতে হয়নি। নদীশাসনে ১ কোটি ৩৩ লাখ কংক্রিট ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে চার কোটি জিও ব্যাগভর্তি বালু ফেলা হয়েছে।

আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২৪ বছর আগে ১৯৯৮ সালে সেতুর পরিকল্পনা করে প্রাক-সমীক্ষা করা হয়। দুই যুগে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর