শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হজ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন, এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী বেড়ায় তীব্র গরমে পানি ও খাবার স্যালাইনের শরবত বিতরণ সিরাজগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হিন্দু যুবকদের উদ্যোগে পার্থ সারথী বিদ্যাপিঠ গীতা স্কুল সিরাজগঞ্জে ২টি ব্রীজের শুভ উদ্বোধন করলেন এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী

পদ্মা সেতুতে তিন বিশ্বরেকর্ড

কলমের বার্তা / ২২৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু দেশের দীর্ঘতম সেতু। পানিপ্রবাহের দিক থেকে অ্যামাজনের পর পদ্মা নদীই বিশ্বে বৃহত্তম। প্রমত্তা পদ্মায় সেতু তৈরিতে তিন-তিনটি বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। কারিগরি ও প্রাকৃতিক বাধা জয় করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক নয়, সেতুটি অভূতপূর্ব।

পদ্মা সেতুতে পিলারের (খুঁটি) সংখ্যা ৪২। দুটি পিলার নদীর দুই তীরে। বাকি ৪০টি নদীর পানিতে। পিলার নির্মাণে ৯৮ থেকে ১২২ মিটার গভীর পাইলিং করা হয়েছে, যা বিশ্বরেকর্ড। কোনো সেতু নির্মাণে এত গভীর পাইলিং করতে হয়নি। পদ্মা সেতুর পাইলগুলো তিন মিটার ব্যাসার্ধের। অন্য কোনো সেতুর পাইলের ব্যাসার্ধও এত নয়। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পাইল ৫০ মিলিমিটার পুরু স্টিলের পাইপে মোড়া। হাইড্রোলিক হ্যামারের মাধ্যমে পিটিয়ে পাইল পাইপগুলো নদীতে পোঁতা হয়েছে। বিশ্বে কোনো সেতু নির্মাণে এত গভীরে স্টিল পাইপ পুঁততে হয়নি।

সেতুর দুই তীরে পিলারে পাইলের সংখ্যা ১২টি করে। নদীতে ৪০টি পিলার নির্মাণে প্রতিটিতে ছয়টি করে পাইল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ১০০ মিটার গভীরেও পাথরের স্তর না পাওয়ায় ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নম্বর পিলারে একটি করে বাড়তি পাইল করতে হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতুর জন্য সব মিলিয়ে ২৮০টি পাইল করতে হয়েছে।

পদ্মা সেতু আরেক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বিয়ারিংয়ের ক্ষমতায়। পিলার ও সেতুর নিচের অংশের (লোয়ার ডেক) পাটাতনের মাঝে রয়েছে ১০ হাজার টনের ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’। এত শক্তিশালী বিয়ারিং পৃথিবীর আর কোনো সেতুতে নেই। বিয়ারিংয়ের সক্ষমতার কারণে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকবে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু নির্মাণে নদীর দুই তীরে ১৪ কিলোমিটার তীর বাঁধানো হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে নদীশাসনে। এত বেশি ব্যয় আর কোনো সেতু তৈরির নদীশাসনে করতে হয়নি। নদীশাসনে ১ কোটি ৩৩ লাখ কংক্রিট ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে চার কোটি জিও ব্যাগভর্তি বালু ফেলা হয়েছে।

আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২৪ বছর আগে ১৯৯৮ সালে সেতুর পরিকল্পনা করে প্রাক-সমীক্ষা করা হয়। দুই যুগে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব।

103


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর