শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন

বেড়ায় ক্রমাগত নদী ভাঙনে নিঃস্ব চরাঞ্চলের মানুষ

রিপোর্টারের নাম : / ২৫২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

এস আর শাহ্ আলম-স্টাফ রিপোর্টার: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাবনার বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া – নাকালিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের চর নাগদাহ , হাটাইল- আঁড়ালিয়া ও বেড়া উপজেলার সীমানা সংলগ্ন চৌহালী উপজেলার শৌলজানা সাদা গ্রাম উমরপুর এলাকায় গত এক সপ্তাহে যমুনা নদীর করাল গ্রাসে তিন শতাধিক বসত ভিটা সহ কমপক্ষে দুইশো বিঘা উঠতি চিনা বাদাম ও ইরি ধানের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শৌলজানা গ্রামের খালেক বেপারি , গেদা বেপারি , ঠান্ঠু সরকার , তারা মোল্লা , সালাম বেপারি , রহিম বেপারি , চর নাগদাহ গ্রামের ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা সহ অনেকেই বলেন , যমুনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় ঘর-দরজা গবাদিপশু সরিয়ে নিতে হিমসিম খাচ্ছে।

চারদিকে বর্ষার পানি থৈ থৈ করায় এসব পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা তবে অধিকাংশ ইঞ্জিন চালিত নৌকা কোরবানি ঈদের গরু বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন হাটে চলে যাওয়ায় ভাঙন এলাকায় নৌকা সংকট দেখা দিয়েছে বলে তারা জানান।

যাঁর কারণে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ হতাশ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা গেছে।

ভাঙন বিষয়ে হাটুরিয়া – নাকালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুল হামিদ সরকার বলেন , আমার ইউনিয়নের চরাঞ্চলের চর নাগদাহ ও হাটাইল-আঁড়ালিয়া গ্রামে নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে ওই এলাকার ইউপি সদস্য সহ স্থানীয় লোকজন আমাকে অবহিত করেছেন। তবে ঈদ এসে পড়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানাতে পারিনি ঈদের পরে অফিস খুললে বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর