শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-১ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার প্রতিরোধে পাথরঘাটায় স্থানীয় সরকার সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত

বরগুনা প্রতিনিধি : / ২৪৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

বরগুনার পাথরঘাটায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা নিয়ন্ত্রণ আইন( ২০০৫) প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও পাথরঘাটা আমার নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটি যৌথ সভা অদ্য ১৮ এপ্রিল ২০২২ সকাল ১০টায় পাথরঘাটা পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পাথরঘাটা তামাক প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন আকন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এ কে আলম অপু প্রোগ্রাম অফিসার গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি বরিশাল অঞ্চল, পাথরঘাটা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিন সোহেল।

এছাড়াও সবাই উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর বৃন্দ যথাক্রমে মোসাঃফরিদা ইয়াসমিন কলি, মোসাঃ ইয়াসিন আরা বেগম, মোঃসাঃ চামেলি, মোঃ জহিরুল হক চিনু , মোঃ রোকনুজ্জামান রুকু, মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ মশিউর রহমান, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ মনজুর রশিদ, মোঃ মোসাফ্ফের হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মোসাঃ নাজমুন নাহার।

সভর শুরুতেই আয়োজন কারী সংস্থা সিবিডিপির পক্ষ থেকে একটি তথ্যপত্র উপস্থাপন করা হয় এবং সভা সঞ্চালনা করেন সিবিডিপির প্রোগ্রাম ম্যানজার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। এ তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,

বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০০৩ সালের মে মাসে ৫৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ফ্রেমওর্য়াক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) চুক্তি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ এই চুক্তির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ এবং ২০০৪ সালে চুক্তিকে অনুসমর্থন করে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এবং ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করে।

৩০-৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘Summit on Achieving the Sustainable Development Goals’ শীর্ষক South Asian Speakers Summit-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেন। দেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লক্ষ্য-৩ অর্জনে আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়ন ও তামাকজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এখন আলোচ্য বিষয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা কী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস্তবায়িত হবে? নিশ্চয়ই তা নয়! কোনো সিদ্ধান্তই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস্তবায়িত হয় না এটাই বৈজ্ঞানিক সত্য। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং আরো কিছু অনুসিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটি বাস্তবায়ন করতে হয়।

তার আলোকেই তামাকবিরোধী সংস্থাগুলির নিরলস প্রচেষ্টা এবং সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যকর ভূমিকায় জানুয়ারি ২০২১-এ ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’ প্রকাশিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল দপ্তর/সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ) নির্দেশিকাটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ মার্চ ২০২১-এ স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রজ্ঞাপন (স্মারক নং:৪৬.০০.০০০০.০৮৫.০৬.০৪২.২০১৮-১১৮) জারি করা হয়।

তামাকজাত দ্রব্যের (বিশেষকরে সিগারেট/বিড়ি) যত্রতত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও বিক্রয় সীমিতকরণে ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নির্দেশিকাটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ ঘোষণা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’র ৮ এর ৮.১-এ বলা হয়েছে, ‘তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র বা যেখানে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হবে তার জন্য আবশ্যিকভাবে পৃথক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা এবং প্রতিবছর নির্দিষ্ট ফি প্রদান সাপেক্ষে আবেদনের মাধ্যমে উক্ত ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা।’

এখন কথা হলো লাইসেন্সিং বলতে আমরা কী বুঝি? লাইসেন্সিং ব্যবস্থা কার্যকর করা অর্থ শুধু বৈধতা প্রদান নয়। তারচেয়েও বেশি, নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে সভায় বক্তারা বলেন স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার প্রতিরোধে বিষয়ে কাজ করে যাবেন, পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান এ কাজে সরকারের তথা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সব সময় সহযোগিতা প্রদান করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর