বেনাপোল পোর্ট থানার অভিযানে সুমন হোসেন হত্যা মামলা আসামি গ্রেফতার

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলের পল্লীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন হোসেন নামে যুবক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পোর্ট থানা পুলিশ।
রবিবার (১১ মে) নিহতের পিতা নুর ইসলাম ৬ জনকে আসামি ও আরও ৭-৮জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে
বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৭/৮৯ তারিখ-১১-০৫-২০২৫,
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রাসেল মিয়া ।
গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম শার্শা উপজেলা বেনাপোল পোর্ট থানার, খড়িডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো,সাইদুর রহমান ছেলে।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় তাকে প্রতিপক্ষরা বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা গ্রামে জনৈক আনিছুরের দোকানের সামনে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহতবস্থায় ফেলে রেখে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
শনিবার (১০ মে) সকাল ১১টার সময় সে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা গ্রামের মৃত মইরদ্দিনের ছেলে মশিয়ার, মফিজুর ও শহিদুল্লাহর কাছ থেকে কয়েক বছর পূর্বে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১২ কাঠা জমি বন্ধক রাখে সুমন হোসেন। ইতিমধ্যে সুমনের সাথে তাদের বনিবনা না হওয়ায় উক্ত টাকা ফেরত দিতে বলেন সুমন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার সময় মশিয়ার গংদের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের তাগিদ দেয় সুমন। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক শেষে সুমন চলে আসে এবং গ্রামের দোকানদার আনিছুরের দোকানে এসে বসে।
কিছুক্ষণ পর প্রতিপক্ষ মশিয়ার, মফিজুর ও
শহিদুল্লাহসহ তাদের সাথে আসা লোকজন আনিছুরের দোকান থেকে সুমনকে ধরে রাস্তায় ফেলে দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা ও ইট দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা ও শারিরিক নির্যাতন চালায় তারা। একপর্যায়ে মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে গেলে গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রাসেল মিয়া বলেন,সুমন হোসেন হত্যার থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।