শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন

আমার মায়ের মতো একজনকে হারিয়েছি: রানিকে শেষ শ্রদ্ধায় প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম : / ১১৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার হলে শবাধারে সংরক্ষিত রানিকে শ্রদ্ধা জানান এবং ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে একটি শোক বইতে স্বাক্ষর করেন। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছান।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসে যান। শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি তার শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এর আগে ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছালে ব্রিটিশ স্পিকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোনকে স্বাগত জানান। পরে তাদের ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে শোক বই খোলা হয়েছে। সেখানে বাংলায় শোকবার্তা লেখেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ এরপর প্রধানমন্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তিনি টেলিভিশনের সামনে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড তাকে স্বাগত জানান। সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, তিনি প্রয়াত রানির সঙ্গে আট বা নয় বার দেখা করেছিলেন এবং রানি তাকে তার স্বনামেই চিনতেন। তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, তিনি (রানি) আমার কাছে একজন মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমি আমার মায়ের মতো একজনকে হারিয়েছি। মনে হচ্ছে, একজন অভিভাবক চলে গেলেন।

সৈয়দা মুনা তাসনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা দুজনেই ১৯৬১ সালে রানিকে দেখেছিলেন, যখন তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) সফর করেছিলেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রয়াত রানি ছিলেন একজন বিশ্ব অভিভাবকের মতো এবং তার মৃত্যুতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, শোক বইয়ে শেখ রেহানা- যিনি নিজেও একজন ব্রিটিশ নাগরিক, লিখেছেন- ‘তিনি আমাদের হৃদয়ের রানি এবং সবসময় থাকবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর