কুষ্টিয়ায় হামলা চালিয়ে কলেজশিক্ষকের কবজি বিছিন্ন: অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৭
কুষ্টিয়ায় কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের ডান হাতের কবজি বিছিন্ন ও হত্যাচেষ্টার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিদের কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন কুমারখালী বাঁশগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কুমারখালী বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালাল বিশ্বাসের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র দুইপক্ষের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জেরেই এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- একই এলাকার সলেমানের ছেলে মোশারফ হোসেন মশা (২৬), মোকাদ্দেস হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৭), আব্দুল খালেকের ছেলে সামাদ (২৭), আইয়ুব আলীর ছেলে মুহাইমেন হোসেন (২৭), সামেদ আলীর ছেলে হালিম (৪০), আব্দুল খালেকের ছেলে
পলাশ (২৩) ও গোপাল শেখের ছেলে মুকুল (৪২)। তারা সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা নতুন ব্রিজের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাসের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ও হত্যার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় বুধবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গুরুতর আহত কলেজ শিক্ষক বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।