• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড পেলেন বরিশালের কিশোর বালা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সিরাজগঞ্জের মোঃ অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম বিদায় বেলায় ভাঙ্গুড়ার ইউএনওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সাধারণ মানুষ রায়গঞ্জে সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত পাতানো নিয়োগ বাস্তবায়ন করল ডিজির প্রতিনিধি তিন বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে যুবকের আত্মহত্যা কুড়িগ্রামে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভূট্টা বোঝাই ট্রাক সহ ড্রাইভার উধাও ১১ দিন পর ঢাকায় আটক জয়পুরের হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কুড়িগ্রামে কিশোরী ও শিশুদের মাঝে স্যানিটারী ন্যাপকিন ও টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সামগ্রী  বিতরণ  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ বেড়ায় একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বর্ণাঢ্য র‍্যালী অবরোধের সমর্থনে কোনাবাড়ীতে বিএনপির মশাল মিছিল  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে ৬ টি আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ সিরাজগঞ্জে  বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস  উপলক্ষ্যে র‍্যালি  প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালিত গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা ভাঙ্গুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,ওয়াশিংটন টাইমসের কলামে তুলে ধরলেন জয়

কলমের বার্তা / ১১৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২২

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়েই যখন কর্মসংস্থান কমেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে, তখন ডিজিটাইজেশনের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

লকডাউনের মধ্যে নিজস্ব অফিসের বাইরে মানুষকে বাড়িতে বসে অফিস করতে হয়েছে, আর সেই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা কীভাবে দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার লেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন টাইমসে গতকাল মঙ্গলবার ‘ডিজিটাল লিপস হেলস্ বাংলাদেশ ন্যাভিগেইট দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক জয়ের কলামটি প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত কলামে তিনি লিখেছেন, করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে শ্রমবাজারকে ব্যাহত করেছে এবং এই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। এর স্বল্পমেয়াদী ফলাফল ছিল দ্রুত ও তীব্র। লাখ লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং আরও লাখ লাখ মানুষ বাড়ি থেকে কাজ শুরু করে। মহামারির দীর্ঘমেয়াদী এই প্রভাব নিয়ে এখনো বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত, শ্রমের চাহিদা এবং আমাদের কাজ করার পদ্ধতি চিরতরে পরিবর্তিত হয়েছে।

জয়ের লেখায় ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা এবং দেশের মানুষের ইন্টারনেট প্রাপ্তির সুবিধার কথা উঠে এসেছে।

সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরুর পর দ্রুত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বৃদ্ধি এবং বহুমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে। সংক্ষেপে, ডিজিটাল বাংলাদেশ ইন্টারনেটের ব্যবহার ও স্মার্টফোনভিত্তিক প্রোগ্রামগুলোর ব্যবহার ধীরে ধীরে সহজ করে তুলেছে এবং কাগজভিত্তিক সরকারি পরিষেবাগুলোকে প্রতিস্থাপন করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকার ৮ হাজার ৫০০টিরও বেশি ডিজিটাল সেন্টারের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, যা সর্বত্র অনলাইন পরিষেবা সরবরাহ করছে।

২০০৮ সালে এই পরিষেবাগুলোর সবই ছিল সাধারণ মানুষের আওতার বাইরে। তখন মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত। কিন্তু এখন বাংলাদেশে ১২ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। ইন্টারনেট আওতায় রয়েছে দেশের ৯৮ ভাগ অঞ্চল।

কলামে তিনি আরও জানান, ডিজিটাল বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ লাখ লাখ মানুষকে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সজ্জিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, সরকার ৮৬ হাজার ‘ডিজিটাল ক্লাসরুম’ তৈরি করেছে এবং ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ফলস্বরূপ, ২০০৮ সালের ২৫ মিলিয়ন ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানি ২০২১ সালের ২০০০ মিলিয়নে (২ বিলিয়ন) পৌঁছেছে। মহামারির মধ্যে ঘরে বসে কাজ করা এবং এই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের প্রসার বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন ফ্রিল্যান্সার সরবরাহকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে রয়েছে ৫০ হাজার ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা। বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ মিলিয়ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মটি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে। এটি মহামারি চলাকালীন একটি স্থিতিস্থাপক কর্মসংস্থান মডেল হিসেবেও প্রমাণিত। কারণ কাজের ধরণ অফিসে সশরীরে উপস্থিতির পরিবেশ থেকে দূরে সরে গেছে।

জয় লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রথম জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ডিজিটাল কাজের গতি বাড়িয়েছে। ২০১৮  সালে চালু হওয়া স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট কাভারেজ প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রসারিত করে, যেটির মাধ্যমে গ্রামীণ বাংলাদেশিরাও টেলিমেডিসিন সহায়তা, ই-লার্নিং ও ই-ব্যাংকিং সেবা পেতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং এটি যে নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করে, তার সুবিধা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের তরুণ জনসংখ্যা (প্রায় ৬৫ শতাংশ ২৫ বছরের কম বয়সী) উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে এবং বছরে ৫ লাখ ডিজিটাল কর্মী গ্র্যাজুয়েট করছে।

55
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর