শিরোনামঃ
বাগবাটি রাজিবপুর অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে হুইল চেয়ার বিতরণ সিরাজগঞ্জ পৌরকর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত  কাজিপুর খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো -ধান চাউল সংগ্রহ এর উদ্বোধন আদিতমারীতে ধান-চাল ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু নিবির হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরেক শিশু বেনাপোল সীমান্তের চোরা পথে ভারতে যাবার সময় মিয়ানমার নাগরিকসহ আটক-৪ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্নহত্যা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঝিকরগাছায় জমি দখলে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের ৫ জনকে মারপিট একঘরেই তিন প্রার্থী যশোরের শার্শায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ যশোরে অভিযানে মাদকসহ দুইজন আটক রক্ষা পেল প্রতারক চক্রের হাত থেকে প্রায় ৩০০ অভিবাসী নারী-পুরুষ আগামীকাল অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু গাজীপুরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু উল্লাপাড়ায় মোটরসাইকেল নির্বাচনী প্রচারণায় হাজারো মানুষের ঢল বেনাপোলে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাবের গণজোয়ার নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ সিরাজগঞ্জে ২১৬ কে‌জি গ‌াঁজাসহ গ্রেফতার-২  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাচা-ভাতিজার লড়াই! সাধারণ ভোটাররা শঙ্কায় পতেঙ্গা সৈকত ঘিরে মাস্টার প্ল্যান তৈরিসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ করুন

কলমের বার্তা / ৯৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

মুসলিম উম্মাহকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

সোমবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরে প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুসলমানদের যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে যথাযথভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বাস করি, আমরা এটা করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘যখনই আমি ওআইসি সদস্য দেশে যাই, তাদের আমি এই অনুরোধই করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে বিশ্বসভ্যতা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোলসহ জ্ঞানের আরও অনেক শাখায় মুসলিম স্কলারদের ব্যাপক অবদান রয়েছে।

সে যুগের মুসলিম স্কলাররা সংস্কৃতি, জ্ঞান অর্জন, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। সেই অবস্থান থেকে বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর পিছিয়ে থাকার কারণ বিশ্লেষণ করা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞানের অভাব এবং অন্যান্য অনেক বিষয় মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষ করে তাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, এটাই এই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘মুসলিম জাতির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জোরালো প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন, যাতে তারা এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ফলে উপস্থাপিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিমবিশ্বকে পিছিয়ে পড়া উচিত নয়। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও অন্যান্য খাতে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওআইসির সব এজেন্ডা ও কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের মসৃণ কার্যকারিতার জন্য যে কোনো ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আজকের গ্র্যাজুয়েটরা আগামী দিনে বিশ্বের প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক এবং

বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে। তনি বলেন, আমারা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনসংখ্যা, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট জনশক্তি থাকবে।

ওআইসির মহাসচিব ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর ব্রাহিম তাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

সমাবর্তনে ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের অসামান্য ফলের জন্য দুই ধরনের স্বর্ণপদক আইইউটি স্বর্ণপদক এবং ওআইসি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠনে প্রধানমন্ত্রী তার অর্থায়নে আইইউটির নবনির্মিত মহিলা হলেরও উদ্বোধন করেন।

আইইউটি বাংলাদেশের একটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) অর্থায়নে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য হলো ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে, বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখা। আইইউটি ওআইসিভুক্ত সদস্য দেশগুলো থেকে সরাসরি অনুদান পায় এবং ছাত্রদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান, বোর্ডিং, বাসস্থান ও চিকিৎসা প্রদান করে।

109


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর