শিরোনামঃ
গাজীপুরে ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া শিশু নোমান কাজিপুরে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে কাতারের আমির আসছেন সোমবার রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত আরাফাতের নেতৃত্বে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার উপর হামলা সিরাজগঞ্জ সদরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন অসহায় হাকিম ও আয়শা দম্পতির সহানুভ‚তি নিবাসের উদ্বোধন উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক:

শিশুকে দুধ খাওয়ানো নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা

কলমের বার্তা / ২২৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে আমাদের সমাজে কিছু ভুল ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এ জন্য শিশু ও মা দুজনই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

শিশুর পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্র মায়ের দুধের ভিটামিন, খনিজ ও এনজাইম সম্পূর্ণরূপে শোষণ করতে এবং কাজে লাগাতে সক্ষম ও প্রস্তুত; অন্য কোনো দুধ হজমের জন্য প্রস্তুত নয়। মায়ের দুধে শিশুর বদহজম বা অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি নেই। মায়ের দুধের ওপর নির্ভরশীল শিশু প্রথম বছরে তিন গুণ ওজন লাভ করে—এটা গবেষণালব্ধ সত্য। তাই বুকের দুধে স্বাস্থ্য হয় না, এ ধারণা ভুল। জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর কোনো খাবারের প্রয়োজন নেই, এমনকি আলাদা পানিও না। বুকের দুধ পান করালে মায়ের ক্ষেত্রে প্রসব-পরবর্তী জটিলতা অনেক কমে। এটি মায়ের শরীরে ঋতুস্রাবের চক্রকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বুকের দুধ পান করালে গর্ভকালীন ধকল থেকে মায়ের জরায়ু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। এটি মা ও শিশুর মধ্যে ইতিবাচক বোধ তৈরিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধ সহজপাচ্য, বিশুদ্ধ এবং এতে রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান থাকে বলে যেকোনো সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। মায়ের দুধ পানকারী শিশুদের হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, স্থূলতা, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, কানের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা (ডায়রিয়া, বমি), সিডস (সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম) ইত্যাদির আশঙ্কা কম। যে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তাঁদেরও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্তন ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। কিন্তু বাজারের যেসব শিশুখাদ্য পাওয়া যায়, সেগুলো মায়ের দুধের মতো এতটা সুরক্ষা দিতে পারে না। ফলে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

যেমন: নবজাতকের পুষ্টি নিশ্চিত করতে মাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে মাকে এক থেকে দুই গ্লাস পানি অথবা তরল খাবার খেতে হবে। দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো রকম তাড়াহুড়ো করা যাবে না। প্রশান্ত মনে, ধৈর্যসহকারে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর সময় একটি স্তন থেকে ভালোভাবে খাওয়াতে হবে। কারণ, প্রথম দিকে পাতলা এবং পরে ঘন দুধ বের হয়। দুই ঘণ্টা পরপর শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় একটানা চার ঘণ্টা বিরতি দিলেও কোনো সমস্যা নেই। নবজাতককে কোলে নেওয়া ও বুকের দুধ দেওয়ার পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে কোলে নেওয়ার নিয়ম:

শিশুর মাথা মায়ের কনুইয়ের ভাঁজে থাকবে। শিশুর পাছা মায়ের হাতের তালুতে থাকবে। শিশুর মাথা, পিঠ ও পাছা একই লাইনে থাকবে এবং শিশুর শরীর মায়ের শরীরের সঙ্গে লাগানো থাকবে। মা শিশুর পুরো শরীর ধরে থাকবেন। দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মুখ মায়ের স্তনের কাছে থাকবে। শিশুর নাক মায়ের স্তনের বোঁটার ঠিক বিপরীতে থাকবে; যেন সহজেই শিশু মুখে নিয়ে নিতে পারে। শিশুকে মায়ের বুকে নেওয়ার নিয়ম:

শিশুর থুতনি মায়ের স্তনে লাগানো থাকবে। শিশুর মুখ বড় করে হাঁ করে থাকবে। শিশুর নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে ওল্টানো থাকবে। স্তনের ওপরের কালো অংশ নিচের অংশের চেয়ে বেশি দেখা যাবে।

ডা. মনীষা বর্মণ, শিশু ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

 

 

143


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর