• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ময়মনসিংহ থেকে অপহরণ কিশোরী গাজীপুর থেকে উদ্ধার  সিরাজগঞ্জে বৃষ্টিতে বিকেলে নৌকার পক্ষে  শেহেরিন সেলিম রিপনেরর প্রচরনা ও গণসংযোগ সিরাজগঞ্জে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত! সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে   অবৈধ চায়না কারেন্ট জাল উদ্ধার এবং  আগুনে পুড়ে ধ্বংস  ট্রাক ট্যাংকলড়ী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে সংবাদ সন্মেলন কাজিপুরের প্রথম স্মার্ট বিদ্যালয় উদ্বোধন মারডক ইউনিভার্সিটি  অস্ট্রেলিয়া’র প্রতিনিধির বারি পরিদর্শন  সলঙ্গায় জলি ডিজিটাল সাইন এন্ড কালার ল্যাবের নতুন ভবনের উদ্বোধন জামুকা বাতিলসহ সাত দফা দাবি পূরণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক জামুকা ঘেরাও সিরাজগঞ্জ সদর টিটিসি এর সেইপ ট্রাঞ্চ-৩ মোটর ড্রাইভি উইথ বেসিক মেইন্টেন্যান্স এর সমাপনী  জান আর দেখা হবে না স্বামীকে মেসেজ দিয়ে নববধূর আত্মহত্যা! সরকারি অফিসে জুয়ার আসর, সাবেক চেয়ারম্যানসহ আটক ৫ পুষ্টি প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০২৩ প্রতিযোগিতায় সিরাজগঞ্জ বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন  সলঙ্গায় জোরপূর্বক বাড়ি দখলের চেষ্টা,থানায় অভিযোগ পুলিশ জনগণের শত্রু নয়,বন্ধু-হরিশ্বর রায় সলঙ্গায় যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেন বড় ছেলে রাসেল কাজিপুরে ১৫ টি জলাশয়ে ৬২৫ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করণ

অনলাইন ডেস্ক:

শিশুকে দুধ খাওয়ানো নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা

কলমের বার্তা / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে আমাদের সমাজে কিছু ভুল ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এ জন্য শিশু ও মা দুজনই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

শিশুর পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্র মায়ের দুধের ভিটামিন, খনিজ ও এনজাইম সম্পূর্ণরূপে শোষণ করতে এবং কাজে লাগাতে সক্ষম ও প্রস্তুত; অন্য কোনো দুধ হজমের জন্য প্রস্তুত নয়। মায়ের দুধে শিশুর বদহজম বা অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি নেই। মায়ের দুধের ওপর নির্ভরশীল শিশু প্রথম বছরে তিন গুণ ওজন লাভ করে—এটা গবেষণালব্ধ সত্য। তাই বুকের দুধে স্বাস্থ্য হয় না, এ ধারণা ভুল। জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর কোনো খাবারের প্রয়োজন নেই, এমনকি আলাদা পানিও না। বুকের দুধ পান করালে মায়ের ক্ষেত্রে প্রসব-পরবর্তী জটিলতা অনেক কমে। এটি মায়ের শরীরে ঋতুস্রাবের চক্রকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বুকের দুধ পান করালে গর্ভকালীন ধকল থেকে মায়ের জরায়ু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। এটি মা ও শিশুর মধ্যে ইতিবাচক বোধ তৈরিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধ সহজপাচ্য, বিশুদ্ধ এবং এতে রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান থাকে বলে যেকোনো সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। মায়ের দুধ পানকারী শিশুদের হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, স্থূলতা, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, কানের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা (ডায়রিয়া, বমি), সিডস (সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম) ইত্যাদির আশঙ্কা কম। যে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তাঁদেরও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্তন ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। কিন্তু বাজারের যেসব শিশুখাদ্য পাওয়া যায়, সেগুলো মায়ের দুধের মতো এতটা সুরক্ষা দিতে পারে না। ফলে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

যেমন: নবজাতকের পুষ্টি নিশ্চিত করতে মাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে মাকে এক থেকে দুই গ্লাস পানি অথবা তরল খাবার খেতে হবে। দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো রকম তাড়াহুড়ো করা যাবে না। প্রশান্ত মনে, ধৈর্যসহকারে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর সময় একটি স্তন থেকে ভালোভাবে খাওয়াতে হবে। কারণ, প্রথম দিকে পাতলা এবং পরে ঘন দুধ বের হয়। দুই ঘণ্টা পরপর শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় একটানা চার ঘণ্টা বিরতি দিলেও কোনো সমস্যা নেই। নবজাতককে কোলে নেওয়া ও বুকের দুধ দেওয়ার পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে কোলে নেওয়ার নিয়ম:

শিশুর মাথা মায়ের কনুইয়ের ভাঁজে থাকবে। শিশুর পাছা মায়ের হাতের তালুতে থাকবে। শিশুর মাথা, পিঠ ও পাছা একই লাইনে থাকবে এবং শিশুর শরীর মায়ের শরীরের সঙ্গে লাগানো থাকবে। মা শিশুর পুরো শরীর ধরে থাকবেন। দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মুখ মায়ের স্তনের কাছে থাকবে। শিশুর নাক মায়ের স্তনের বোঁটার ঠিক বিপরীতে থাকবে; যেন সহজেই শিশু মুখে নিয়ে নিতে পারে। শিশুকে মায়ের বুকে নেওয়ার নিয়ম:

শিশুর থুতনি মায়ের স্তনে লাগানো থাকবে। শিশুর মুখ বড় করে হাঁ করে থাকবে। শিশুর নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে ওল্টানো থাকবে। স্তনের ওপরের কালো অংশ নিচের অংশের চেয়ে বেশি দেখা যাবে।

ডা. মনীষা বর্মণ, শিশু ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

 

 

67
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর