সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রমিকদল নেতা নিখোঁজ গলাচিপায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে পরিষ্কার হলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শার্শায় মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত লালমনিরহাটে পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের মানববন্ধন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু আশঙ্কা মুক্ত কোনাবাড়ীতে ফ্লাট বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার লালমনিরহাট বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদক উদ্ধার  বেনাপোলে ঈদ জামাতের জন্য ৪ হাজার ফিট কার্পেট হস্তান্তর যাদের পয়সায় আমাদের বেতন,তাদের জন্য কাজ করতে হবে-সেনাপ্রধান নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্তৃক নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে গাজীপুরে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

রিপোর্টারের নাম : / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২

আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য হাজী মোঃ সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী আজকের দিন থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর হাইকোর্টের রায়ের ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই। এর আগে হাজী সেলিমকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

২০২১ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ পায় রায়।

এছাড়া জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী সেলিমকে আদালত আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হাজী সেলিমের সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় দেন হাইকোর্ট। সেখানে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর