কাজিপুরের চরাঞ্চলে বাঁধ ভেঙে ৪শ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে
কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের চরগিরিশ ইউনিয়নের উত্তর চরনাটিপাড়ায় বাঁধ ভেঙে ৪শ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ২৫০ জন প্রান্তিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই বর্গাচাষি।
গত মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল রাতে স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে নির্মিত বাঁধটি উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে ভেঙ্গে যায়। ক্ষতিগ্ৰস্থ কৃষকেরা ঘটনার এক সপ্তাহ দিন পেড়িয়ে গেলেও সরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কেউ খোঁজ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উত্তর চরনাটিপাড়া গ্ৰামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হোসেন আলী জানান দাদনের উপর ২০ হাজার টাকা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন, সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, ৬ জনের সংসারের সাড়া বছরের চালের খরচ আসতো।
ভুক্তভোগী ভেটুয়া গ্ৰামের গোলজার হোসেন (৬২), চরনাটিপাড়া গ্ৰামের আব্দুল মজিদ (৫২), জুড়ান আলী (৪৫), বকুল, শাহজামাল, আছের আলী, আলামিন, আব্দুল হামিদ, সাইফুলসহ ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য কৃষকদের ভাষ্য একই রকম প্রায়। তারা জানান যমুনা নদীর এই কোলে বছরে একবার মাত্র চাষাবাদের সুযোগ মেলে।
স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নুরু তালুকদার জানান স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে প্রতিবছর যমুনা নদীর কোলের এ অংশে বাঁধ নির্মাণ করে তারা ধান চাষাবাদ করেন, এবার অপ্রত্যাশিতভাবে অসময়ে নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার ২৫০ জন কৃষক অপুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় কৃষকেরা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করেন, এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শনের দাবি জানান। চরগিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান কৃষকের অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে সরকারি কৃষি প্রণোদনা বা পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।