শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হজ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন, এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী বেড়ায় তীব্র গরমে পানি ও খাবার স্যালাইনের শরবত বিতরণ সিরাজগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হিন্দু যুবকদের উদ্যোগে পার্থ সারথী বিদ্যাপিঠ গীতা স্কুল সিরাজগঞ্জে ২টি ব্রীজের শুভ উদ্বোধন করলেন এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী

কাজিপুরে রোজার আগেই গৃহহীনদের মাঝে ঈদের আমেজ

কলমের বার্তা / ৯৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

গোলাম কিবরিয়া খান, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে চতুর্থ পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে যাচ্ছে ১৭০ টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার। অনাদরে অবহেলায় জীবনের অনেকটা সময় পার করা এসব ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারের সদস্যগণ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তারা পাকা ঘরসহ জমি পাবেন। তাদের সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। আজ তারা অন্য সবার মতো জমিসহ পাকা ঘরের মালিক। এই নিয়ে কাজিপুরের মোট ৩৭২টি পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলাকে আগামী ২২ মার্চ -২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করবেন।

২০ মার্চ সোমবার দুপুরে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী অনিক ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা।

কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে , চতুর্থ পর্যায়ে উপজেলার সোনামুখী, লক্ষিপুর ও চরগিরিশে ১৭০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলের চরগিরিশে ১৪০ টি ব্যারাক নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনেফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে এই ঘরগুলোর উদ্বোধন করবেন। আর এর মাধ্যমে কাজিপুর উপজেলাকে গৃহহীন ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৩৫ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৫ টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১১২ টি ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার সোনামুখী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন তিন সন্তানের জননী রেনুকা খাতুন। তিনি জানান, স্বপেনও ভাবি নাই আমার জমি ও পাকা ঘর হইবো। ছোটবেলায় বাপে বিয়া দিছিলো। তিন মেয়ে রাইখা উনি(স্বামী) মারা গেছেন দশ বছর আগে। অন্যের বাড়ি ঝিয়ের কাজ হইরা ছলপলগোরে বড় হরছি। দুইজনকে বিয়া দিছি। এহনো আমি অন্যের বাড়িতে কাম করি আর সেহানেই থাকি। আইজ জমি ও ঘর দিলো আমাগোরে প্ররধানমন্ত্রী। আমি আইজ খুইব খুশি। আল্লাহ শেখের বেটিরে বাঁইচা রাখুক।
আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন বাক প্রতিবন্ধী চন্দনা রানী। তার তিনকূলে কেউ নাই। দূর সম্পর্কের এক বোনের বাড়িতে থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে পেট চলে তার। ঘর পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আনন্দে তার দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। ইশারায় তিনি সেই আনন্দ প্রকাশ করেন। হাতের ঈশারায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলার লক্ষীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঘর পাওয়া দিনমজুর সেলিম রেজা। জন্মের পর থেকে বেড়ে উঠেছেন অন্যের বাড়িতে। বুঝ হবার পরেই পেট চালানোর তাগিদে বাপে তাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করেছেন। অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানেই জীবনের ৬২ টি বছর পার করেছেন। আজ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে তিনি আনন্দে আত্মহারা। সেলিম রেজা জানান, মনে হইতাছে আইজকা আমার জীবনের ঈদ। এতো আনন্দ কখনও পাই নাই। জন্মের পর থেকে সবার দূরদূর ছাইছাই শুনে, লাঠিঝাটা খেয়ে বড় হইছি। আইজক্যা নিজের নামে জমি ও ঘর পাইলাম। এহন আর কেউ আমাকে তাড়াইয়া দিতে পারবো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঋণ শোধ কইরবার পারমু না। শুধু প্রাণভরে দোয়া করমু।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার জানান, ১৭০ টি ঘরের মধ্যে আজ ১৫৪টি পরিবারকে বুঝে দেয়া হচ্ছে। কেউ বাদ পড়লে বাকি ঘরগুলোতে তুলে দেয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের জন্যে রাতদিন খুঁজে খুঁজে প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্বাচন করেছি। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দলিল উপহার দিতে পেরে ভালো লাগছে। এই কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিলো। জমি উদ্ধার, শ্রেণি পরিবর্তন, দলিল তৈরি, নথি সৃজন করার মতো কাজগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হয়েছে। এসব কাজের কষ্ট ভুলে গেছি যখন আশ্রয়ণে ঘর পাওয়া পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি দেখেছি।

89


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর