শিরোনামঃ
আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার বদলে যাবে হাওরের কৃষি বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের ‘তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’ অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড় এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী দশতলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু বাগবাটি রাজিবপুর অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে হুইল চেয়ার বিতরণ সিরাজগঞ্জ পৌরকর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত  কাজিপুর খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো -ধান চাউল সংগ্রহ এর উদ্বোধন আদিতমারীতে ধান-চাল ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু নিবির হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরেক শিশু বেনাপোল সীমান্তের চোরা পথে ভারতে যাবার সময় মিয়ানমার নাগরিকসহ আটক-৪ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্নহত্যা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ পদ্মা সেতুতে, কাজ শেষ ‘এক সপ্তাহের মধ্যে’

কলমের বার্তা / ৭৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩

পদ্মা সেতুতে দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘রেললিংক’-এর প্রকল্প পরিদর্শন প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায় জানান, এ ধরনের রেলপথ নির্মাণে খরচ বেশি হলেও এতে ট্রেন চলে দ্রুতগতিতে এবং ভ্রমণ হয় আরামদায়ক। রক্ষণাবেক্ষণেও কোনো ব্যয় নেই।

সেতুর দুই প্রান্তের ভায়াডাক্টসহ এ রেলপথের দৈর্ঘ্য মোট ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, প্রকল্পটির অধীনে পদ্মা সেতুর অংশসহ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনটি ভাগে এ নির্মাণকাজ চলছে।

এগুলো হলো ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশে রয়েছে পদ্মা সেতু।

প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র আরও জানান, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ। এখন সেতুর মাঝ বরাবরে ৫০০ মিটার রেললাইন নির্মাণকাজ চলছে। সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, সেতু থেকে জাজিরার পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ৪ কিলোমিটার ও সেতু থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথ হচ্ছে পাথরবিহীন।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানোর আশা করছেন বলে সঞ্জয় জানান।

সঞ্জয় চন্দ্র রায়ের ভাষ্য, “বাংলাদেশে প্রথম নতুন প্রযুক্তির পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে পদ্মা সেতুতে। এ ধরনের রেলপথে ভ্রমণ হয় আরামদায়ক। সেতুতে যেন কোনো ঝাঁকুনি (জার্কিং) না হয়, তার জন্য পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।”

রেললিংকের এ প্রকল্পের পাথরবিহীন রেলপথের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, সেতুর স্প্যানের ওপর লোহার খাঁচা বানানো হয়েছে। তার ওপর রেলট্র্যাক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি রেলট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার। তাতে ৪২টি স্লিপার রয়েছে। রেলট্র্যাক ও স্লিপার কংক্রিট দিয়ে ঢালাই করে আটকে দেওয়া হয়েছে।

জহিরুল হক আরও বলেন, “এখনও বাংলাদেশে পাথরবিহীন রেলপথ নেই। এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে নির্মাণ করার সময় ব্যয় বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ব্যয় নেই। এ রেল লাইনে কোনো ঝাঁকুনি হয় না। পদ্মা সেতুর জন্য ঝাঁকুনিবিহীন রেললাইন প্রয়োজন। তাই করা হয়েছে।”

এ রেলপথে দ্রুতগতির ট্রেন চালানো যাবে জানিয়ে এ প্রকৌশলী বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পাথরবিহীন রেলপথ দিয়ে ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারে। পদ্মা সেতুতে এর গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেলপথের মধ্যে সেতুতে ৫০০ মিটারের কাজ বাকি আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা শেষ করা হবে।” মার্চের মধ্যে সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর আশা করছেন তিনি।

76


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর