শিরোনামঃ
প্রচার-প্রচারের শেষ দিনে সিরাজগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের ব্যাপক শোউন ও ভোট প্রার্থনা অবশেষে শার্শা-বেনাপোলে দেখা মিলল কাঙ্খিত বৃষ্টি অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার প্রত্নসম্পদের ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সশস্ত্র বাহিনীকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য উল্লাপাড়ায় ফিতা পাইপ প্রদর্শনী ও মাঠ দিবস পালন লালমনিরহাট পশু হাসপাতালে ল্যাব থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান ভোগান্তিতে খামারি! হুমকিতে আমচাষী থানায় জিডি জবির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে হৃদয় হোসেন রানা লালমনিরহাটে মাদক কারবারে বাঁধা-শালিসি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে মারধর! রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের হালখাতা ও ঋণ আদায় মহাক্যাম্পের উদ্বোধন! বেলকুচিতে ভাইরাল ভিডিওকে গুজব ও পুলিশের মামলাকে মিথ্যা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না

Kolomer Batra / ১১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্ববাসীকে সব ধরনের আক্রমণ ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের এসক্যাপ হলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে না বলতে হবে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের নিউ এজেন্ডা ফর পিসকে সমর্থন করে।’ প্রধানমন্ত্রী সমস্ত যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধ করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গাজায় হামলা শুধু হতাহত, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, কিন্তু আলোচনা শান্তি আনতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যুদ্ধ এবং গণহত্যা চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না।’ এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তাঁর উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন, যা জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে। সর্বোপরি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক সম্মান দেখাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড গেছেন। ২৯ এপ্রিল তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশেষ করে আসিয়ানকে মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে রোহিঙ্গারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে যেন স্থায়ীভাবে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের সংকটের উৎস মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত দিন সমাধানটি নাগালের বাইরে থাকবে, তত দিন আঞ্চলিক সংযোগ, একীভূতকরণ এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা একটি অদেখা ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত হতে থাকবে। আসুন সেই ধাঁধাটিকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে আমাদের চেষ্টাকে দ্বিগুণ করি।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে গেলে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়। তিনি বলেন, ‘একটি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে।’ প্রতিবছর জন্ম নিচ্ছে ৪০ হাজার শিশু। এতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। রোহিঙ্গারা এরই মধ্যে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। মাদক সেবন ও পাচার, খুন, ছিনতাই, রাহাজানির মতো এহেন কর্মকাণ্ডে জড়িত। এতে পর্যটন শহর কক্সবাজারের পরিবেশ-পরিস্থিতি দিন দিন ক্রমাবনতি ঘটছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়াও বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অঞ্চলের ভেতরে এবং এর বাইরে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে তাঁর অভিন্ন শত্রু দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে জলবায়ু সংকট, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং আন্ত সীমান্ত দূষণ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের পরও কপ২৯-এ উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যের জন্য আমাদের চাপ দিতে হবে। আমাদের আন্ত সীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনা এবং বায়ুর মানের উন্নতিতে সহযোগিতা করতে হবে। ক্রমবর্ধমান চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর জন্য আমাদের সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।’

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি ও অর্জনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের বেশির ভাগ অর্জনই জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘নিম্ন বদ্বীপ অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতায় ব্যাপক বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষে সংশ্লিষ্ট জায়গায় আইসিটি বিভাগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’ পরিদর্শন করেন। পরে সেখানকার বৈঠককক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্যাসিফিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইএসসিএপি) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়ান আলিসজাহবানা সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

13


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর