বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা

পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৫৫

রিপোর্টারের নাম : / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পাকিস্তানে চলমান ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ জনে। গতকাল বুধবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭২২ জন।

দুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শনের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, গোটা পাকিস্তান যেনো সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতার আহ্বানও জানান তিনি।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩। বন্যাপীড়িত এলাকাগুলোর মানুষেরা অতিবাহিত করছেন কঠিন মানবেতর জীবন। তাঁবু গেড়ে থাকা শিবিরগুলোতে দেখা দিয়েছে শৌচাগারের অভাব। যে কারণে খোলা জায়গায়ই প্রাকৃতিক কাজ সারতে হচ্ছে দুর্গতদের। বাড়ছে পানিবাহিত মহামারির ঝুঁকি। তাছাড়া দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় ব্যাপক হারে গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেখা দিচ্ছে দুধ ও মাংসের ঘাটতি।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আপনি না দেখলে ধ্বংসের মাত্রা অনুমান করতে পারবেন না। যতদূর আপনার চোখ যাবে, দেখবেন শুধু পানি আর পানি। ঠিক যেন সমুদ্র।’ এ সময় তিনি জানান, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য ২ লাখ তাঁবু কিনবে সরকার। তাছাড়া পানি কমার পাশাপাশি পানিবাহিত রোগের আক্রমণকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন শাহবাজ। কিন্তু মুখে বললেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আশানুরূপ পদক্ষেপ নেই সরকারের। বিশেষ করে শৌচাগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই যেন চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে শাহবাজ প্রশাসনের।

বন্যাবিধ্বস্ত পাঞ্জাবের একটি ছোট গ্রাম ফাজিলপুর। ‘বীরের মতো’ মাথা উঁচু করে আছে ছোট্ট জরাজীর্ণ এক রেলস্টেশন। এখানেই অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন শত শত স্থানীয়। চারদিকে দিগন্তজোড়া থইথই পানি। রেল স্লিভারের পাশেই রয়েছে এখ খণ্ড শুকনো জমি। ওই জায়গাটুকুও এখন মানুষ এবং গবাদিপশুর মলমূত্রের একমাত্র ‘ভাগাড়’। দুর্গন্ধময় এই পরিবেশেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সারতে হচ্ছে প্রাকৃতিক কাজ।

এখানেই এখন চলছে বন্যাদুর্গতদের নাওয়া-খাওয়া। প্রাকৃতিক কাজ সারাদের একজন মাঝবয়েসি জেবুন্নেসা বিবি। দুই সপ্তাহ আগে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেবুন্নেসা বিবির গ্রামের বাড়িটি। নিরুপায় হয়ে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছেন এই রেললাইনের ধারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাধ্য। গোসল বা টয়লেটে যাওয়ার জন্য আলাদা কোনো জায়গা নেই।’ সূত্র: ডন, জিও টিভি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর