রাতে বরাব মাধবচালা এলাকার রিয়াজ মাহমুদ তালুকদার, নুর ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও নছের মার্কেট এলাকার ফরহাদসহ ৩০-৪০ জন লোক ২০/২৫টি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশাযোগে গিয়ে ওই বাড়িতে হামলা করে। এ সময় জামরুল ইসলাম ও নার্গিস বেগমের টিনশেডের ওই ঘরটি একেবারেই ভেঙে ফেলে।
এছাড়াও পাশের আরেকটি ঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তাদের বাধা দিতে গেলে বাড়িতে থাকা মারিয়া (২৫), আয়েশা (১৫), ফারজানা (১৩), নাঈম (১৪) শিখা (২৬) ও নার্গিসকে (৩৫) মারধর করে।
এ সময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে হামলাকারীদের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে হামলাকারীরা পূনরায় এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন দেয়। ভুক্তভোগীদের দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযুক্ত রিয়াজ মাহমুদ তালুকদার বলেন, অন্যের জমিতে তারা ঘর করেছিল। পরে যাদের জমি তারাই ঘরটি ভেঙে দিয়েছে। আমি এলাকার সাবেক মেম্বার ওই হিসাবে সেখানে গিয়েছিলাম। পুলিশও গিয়েছিল।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ঘর-বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাদের জমিতে নার্গিস বেগম ও জামরুল ইসলাম ঘর করছিল। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘর ভেঙে দিয়েছি। তারাও আমাদের উপর হামলা করে। তাদের নামেও জমি নামজারি করা আছে তবে কিভাবে করেছে সেটা আপনারাই দেখেন।
কালিয়াকৈর থানার মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল মামুন খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সাথেই কথা বলেছি। রাস্তার পাশে একটি ঘর ভাঙা দেখেছি। তাদের দুই পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ। পরে দুই পক্ষকে তাদের জমির কাগজপত্র নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলা হয়েছে।