গাজীপুরে পৌষ মাঘ আসলেই শুরু হয় মাটি কাটার মহোসৎব
গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর বাসন থানাধীন ইসলামপুর ফেউছাগাড়া, ভাঙ্গাব্রীজ এলাকার ফসলি জমি থেকে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন সিরামিক কোম্পানিতে। ফসলি কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা নিষেধ থাকলেও, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাটি খেকোরা প্রতিদিনই মাটি কাটায় মগ্ন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহানগীর ১৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর ফেউছাগাড়া, ভাঙ্গাব্রীজ এলাকার তুরাগ নদীর তীর ঘেষা কয়েক’শ বিঘা ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। অব্যাহত মাটি কাটার ফলে মাটি আনা নেয়ায় ব্যবহৃত ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে সিটি কর্পোরেশন ও মহাসড়ক সড়কগুলোতে ধুলাবালি ও কাদামাটিতে ভরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাক চলাচলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাগুলোরও ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন- ভারী ওজনের যানচলাচলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং রাস্তা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রাস্তা অতিশিঘ্রই ফাটল ধরবে। মাটি কাটা রোধে মাটিদস্যুদের বিষয়ে আইনানুগ কঠিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
কিন্তু রাঘববোয়ালদের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয়রা। কিছু বললেই তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতন। যার কারণে সবাই নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর বাসিন্দা ১৪ নং ওয়ার্ডের মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে রিপনের নেতৃত্বে প্রতি বছরই এসব স্থান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। গত বছরে( ২০০৪ সাল) মাটি কাটার দায়ে বাসন থানা পুলিশ রিপনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তথ্য রয়েছে, মাটি কাটা চক্রের মূলহোতা রিপন অবৈধভাবে মাটি কেটে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছেন।
অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে গাজীপুরের বাসন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মাহ আলম জানান, তিনি সরজমিনে একাধিকবার পরিদর্শন করেন এবং মাটি কাটার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের মাটি না কাটার জন্য অনুরোধ জানান। তারা মাটি কাটবে না বলেও প্রতিশ্রুতি করেও তা খেলাপ করেছে। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহ আলম আরো জানান, এ বিষয়ে তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।