• মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা ভাঙ্গুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবরোধে মহাসড়কে ছোট যানবাহনের দাপট  জনতা ব্যাংক পিএলসি.সিরাজগঞ্জ কর্পোরেট শাখার নতুন ভবনের উদ্বোধন ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেতাগীতে এইচএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে আলোচনায় অর্পা কাজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাসেদুল ইসলাম রাজু তালুকদার বরগুনায় এনসিটিএফ এর ত্রৈ-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত অন্যের প্ররোচনায় কাজিপুরের যুবলীগ নেতার মানহানীর চেষ্টা, অভিযোগকারীর স্বীকারোক্তি সিরাজগঞ্জে জোড়াখুন মামলার তিন আসামী আটক  কাশিমপুর কারাগারে এক সপ্তাহে বিএনপির দুই নেতার মৃত্যু কোনাবাড়ীতে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনে ৪৩ জনের মনোনয়ন পত্র জমা   রায়গঞ্জে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পরায় আহত দুই সিরাজগঞ্জে  গরুর মাংসে কৃত্রিম রং মিশিয়ে বিক্রি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় কালীবাড়ি ক্রিকেট একাদশ জয়ী জলমহাল ইজারা দিতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আর নয় চায়না এখন ঠাকুরগাঁওয়ে পাওয়া যাচ্ছে কমলা কাশিমপুরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন  সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছে রেজাউর রাজী স্বপন

প্রাইমারীর শিক্ষকরা তৃতীয় গ্রেড পাবেন শেষ ধাপে

কলমের বার্তা / ১১৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১১ মে, ২০২২

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে প্রস্তুত করা খসড়া নীতিমালা পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। এই নীতিমালা অনুমোদন পেলে একজন শিক্ষক পদোন্নতির সর্বশেষ ধাপে যুগ্ম-সচিব মর্যাদার তৃতীয় গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। নীতিমালায় সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেরও বিধান রাখা হয়েছে। আর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় ব্যবস্থায় ৮০ শতাংশ পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবে।

জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির জট খুলতে নিয়োগ নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। রবিবার এই খসড়া সারাংশসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘এই নীতিমালা অনুমোদন পেলে ৮০ শতাংশ সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক প্রার্থীরা বিভাগীয় ব্যবস্থায় পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। যোগ্য প্রার্থীরা বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে পদোন্নতি পাবেন। সর্বোচ্চ পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের তৃতীয় গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন।’

বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির কিছু সুযোগ থাকলেও উর্ধতন প্রধান শিক্ষক পদটি ব্লক পদ। সে কারণে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি হয় না, আর তাই সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পান না। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করতে না পারায় পদোন্নতি পান না শিক্ষকরা।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় নির্দিষ্ট সময় শিক্ষকরা উচ্চতর পদ ও গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। শিক্ষকরা উপজেলা বা থানা রিসোর্স সেন্টারে দশম গ্রেড পদোন্নতি পাবেন নতুন নীতিমালা অনুযায়ী। একজন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে সর্বোচ্চ তৃতীয় গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় গ্রেড প্রশাসনের যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার গ্রেড।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘দুটি নিয়োগবিধি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুযায়ী পদটি ব্লক পদ। তার কোন পদোন্নতির সুযোগ নেই। আরেকটি হচ্ছে- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে নিয়োগবিধি। এই নিয়োগ বিধিমালায় বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৮০ শতাংশ পদোন্নতি যেন পায়, সে সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকার নীতিগতভাবে তাতে সম্মত হয়েছে। নিয়োগবিধি পাস হয়ে গেলে ৮০ শতাংশ বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। এ ছাড়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ও থানা রিসোর্স সেন্টার রয়েছে, সেখানে দশম গ্রেডে পদ রয়েছে, সেই পদে তারা ৮০ শতাংশ পদোন্নতি পাবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ রাখা হয়েছে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, দেশে ২৬ হাজার ৫৬৬টি বিদ্যালয়ে কয়েক রকমের শিক্ষক রয়েছেন। উপজেলা বা থানাভিত্তিক মেধাতালিকায় নিয়োগ পাওয়া, নন-ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া, প্রকল্প থেকে নিয়োগ পাওয়া এবং বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী হওয়ার পর আত্তীকরণ হওয়া শিক্ষক রয়েছেন। আগের নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা বা থানাভিত্তিক মেধাতালিকা রয়েছে। এ ছাড়া নতুন সরকারী হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রকল্প থেকে আসা শিক্ষকদের মেধা তালিকা নেই। ফলে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করা যাচ্ছে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করা হলেই উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হচ্ছে। ফলে পদোন্নতির কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যিনি গ্রামে নিয়োগ পান, তারা শহরে আসতে চান। কিন্তু নিয়োগ উপজেলাভিত্তিক। আর শহরাঞ্চলে থানাভিত্তিক। সে কারণে তাদের মেধা তালিকাও উপজেলা বা থানাভিত্তিক। নিয়োগবিধি অনুযায়ী অন্যত্র বদলির সুযোগ নেই। কিন্তু মানবিক কারণে শিক্ষকদের শহরে বদলি হয়ে আসতে হয়েছে। এ কারণে জ্যেষ্ঠতার সমস্যা হয়। কারণ মেধা তালিকা না থাকলে জ্যেষ্ঠতার তালিকা হয় না। আর জ্যেষ্ঠতা তালিকা না থাকলে পদোন্নতি হয় না। এসব বিষয়ে ৫ হাজারের কাছাকাছি রিট মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। আমরা মামলার জটে পড়ে অনেক জায়গায় শিক্ষকের পদোন্নতি দিতে পারছি না। যখনই একটি জ্যেষ্ঠতার তালিকা আমরা ওয়েবসাইটে দিয়েছি, তখনই তিনটি রিট মামলা হয়েছে। সে কারণে পদোন্নতির কাজটা আবার স্থবির হয়ে গেছে।’ তবে পরবর্তী নিয়োগের সময় থানা, উপজেলা, জেলা ও জাতীয় মেধাতালিকা তৈরি করা হবে বলে জানান মহাপরিচালক।

43
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর