• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জ সদরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন অসহায় হাকিম ও আয়শা দম্পতির সহানুভ‚তি নিবাসের উদ্বোধন উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লালমনিরহাটে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত! ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ সিরাজগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-১  লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু,আহত ৬ বাংলাদেশী কোনাবাড়ীতে অটোরিক্সার চাপায় ৩ বছরের শিশু মৃত্যু দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

কলমের বার্তা / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ’ ইতিহাসে এই তিনটি নাম অমলিন, অবিনশ্বর ও একই সূত্রে গাঁথা। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আজ গৌরবোজ্জ্বল ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সব আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির অর্জন অনেক।

দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা টানা সাড়ে ১৩ বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন। অর্জনের এই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একদিন পরেই যুক্ত হচ্ছে নতুন মাইলফলক। বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে। তবে অমসৃণ ও দীর্ঘ এই চলার পথে আওয়ামী লীগের সামনে এসেছে নানা বাধা-বিপত্তি, দুর্যোগ-দুর্বিপাক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা থেকে শুরু করে সামরিক জান্তাদের রোষানল, নিষেধাজ্ঞা, হামলা-মামলাসহ কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে দলটিকে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। নির্যাতনের শিকার ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিত্সাও দিচ্ছে। এখন বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। দলটি করোনা মোকাবিলা করে যখন ইতিহাসের সবচেয়ে ‘সুসময়’ পার করছিল, তখনই সামনে এসেছে ভয়াবহ বন্যা। আন্দোলন-সংগ্রামে পরীক্ষিত দলটির এবার বন্যা মোকাবিলা  করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এবারও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আজ সূর্যোদয়ের সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮টায় সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে যে দলটির প্রতিষ্ঠা, সেই আওয়ামী লীগ পেয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সুরম্য ১০ তলা নিজস্ব কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রত্যুজ্জ্বল। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্রের মধ্যেই আওয়ামী লীগ বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, দলটি উজ্জ্বলতর হয়েছে। ৪৭-র দেশ বিভাগ, ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৬২-র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা, ৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ৭০-র যুগান্তকারী নির্বাচন আর ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা আন্দোলন সবখানেই কৃতিত্ব এককভাবে আওয়ামী লীগের। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরোনো ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে তত্কালীন পাকিস্তানের প্রথম প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

প্রথম কাউন্সিলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং শামসুল হককে দলের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তখন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কারাগারে বন্দি। বন্দি অবস্থায় তাকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে দলের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে দলের তৃতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক সংগঠনে পরিণত হয়। ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নতুন নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। পরে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহাল থাকেন। ’৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে দলের আন্তর্জাতিক নীতির প্রশ্নে সোহরাওয়ার্দী-ভাসানীর মতপার্থক্যের কারণে প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগ ভেঙে যায়। ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। আর মূল দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান বহাল থাকেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হলে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়। ১৯৬৪ সালে দলটির কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও শেখ মুজিবুর রহমান অপরিবর্তিত থাকেন।

১৯৬৬ সালের কাউন্সিলে দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদ। এরপরে ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকেন। এই কমিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শেখ হাসিনা সভাপতি পদে বহাল থাকেন। ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর কাউন্সিলে একই কমিটি বহাল থাকে।

80


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর