ভাঙ্গুড়ায় প্রেমের বিয়ে, ৯ মাসেই আত্মহুতি কিশোরীর
তুহিন ও রিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি তুহিন একটি চায়ের দোকানে কাজও করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই অভাব-অনটনে তুহিন ও রিয়ার বনিবনা হচ্ছিল না। অবশেষে রিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই কিশোর কিশোরী দম্পতি দুজনের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামে। তুহিনের বাবার নাম মনির ও রিয়ার বাবার নাম রেজাউল। সোমবার বিকালে রিয়া স্বামীর বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই রিয়া ও তুহিনের বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্যের শুরু হয়। রিয়ার মা ঢাকা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। তাই রিয়া তুহিনকে নিয়ে ঢাকায় মায়ের পোশাক কারখানায় কাজ করতে চাচ্ছিল। রিয়ার পরিবারও এ বিষয়ে সমর্থন জানায়। তবে তুহিন ও তার পরিবার এলাকা ছাড়তে রাজি ছিল না। এনিয়ে রিয়া ও তুহিন এর মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ তুঙ্গে পৌঁছে যায়। অবশেষে রিয়া সোমবার বিকালে নিজ ঘরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। আগামী মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।