সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- সম্পাদক ও ৫ চেয়ারম্যানসহ ১১১জনের নামে মামলা
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় আহত হওয়ার অভিযোগে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রায়হান গফুর ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু ও ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১১ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০-৫০০ অজ্ঞাত নামা করে মামলা দায়ে হয়েছে। গত ২৩ আগষ্ট রাতে জেলহক উদ্দিন নামে এক সেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় ১১১জন নামীয় ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি রায়হান গফুর,সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল আলম,সহ-সভাপতি মিজান বি এস সি, জাহাঙ্গীর আলম লাবু,হাটিকুমরুল ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল্লাহেল কাফি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান,সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ফনি ভূষণ পোদ্দার,সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তাওহীদুর রহমান বাচ্চু,সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ- সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিরো,রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনজেল হোসেন সাগরসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট বেলা ২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা হাটিকুমরুল গোল চত্বর থেকে সলঙ্গা থানা মোড় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি রায়হান গফুর ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু’র প্ররোচনা ও উসকানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি,ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাসেম,আলমগীর,আমজাদ হোসেন, ওমর ফারুক,নূর নবী,রওশন আলী আহত হয় পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি রায়হান গফুর ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভুসহ ১১১ নামিয় ও অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া করে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।