সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নে কর্মহীন মানুষের মাঝে সরকারী (ভিজিএফ) চাল বিতরনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত প্রত্যেককে ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৬/৮ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ সুবিধাভোগীদের।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল ) সকালে ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হইতে এ চাল বিতরণকালে অনিয়ম দেখা দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বেশ কয়েকজন স্থানীয় সংবাদকর্মী।
সরজমিনে জানা যায়, কর্মহীন মানুষদের জন্য বরাদ্ধকৃত তালিকাভুক্ত প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে দেখা গেছে তার উল্টো টা। কেউ পাচ্ছেন ১০ কেজি, আবার কেউ পাচ্ছেন ৬/৮ কেজি করে। এমন ঘটনায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয় উপস্থিত সুবিদাভোগীদের মাঝে।
সুবিধাভোগীরা জানান, আমাদেরকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু আমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে ৬/৮ কেজি করে। ১০ কেজির স্থলে ৯ কেজি হতে পারে। কিন্তু মেম্বর- চেয়ারম্যানরা গরীবের চাল নিজেরাই খেয়ে ফেলছে।
উপস্থিত সুবিধাভোগীদের মধ্যে রঘুনাথ পুর গ্রামের খাদিজা খাতুন ৮কেজি, ৩১ গ্রাম ও নঙ্গলমুড়া গ্রামের দীপালী ৮ কেজি ৫শ গ্রাম, মোরদিয়া গ্রামের অনিতা -৮ কেজি ৫ গ্রাম, ও ঘুড়কা গ্রামের সোহান – ৬ কেজি ৭০ গ্রাম, আবু তাহের -৬ কেজি ২৭ গ্রাম চাউল পেয়েছে।
এসব সুবিধাভোগিরা আরো জানান, এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনের দায়িত্ব অবহেলার কারনে আজ আমাদের এ ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে।
ঘুড়কা ইউনিয়নরে ট্যাগ অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার রায়গঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সটাক্টর আতিকুর রহমান জানান, প্রথমে একটু এলোমেলো হয়েছিল কয়েকজন মেম্ববরের কারনে পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ১০ কেজির কাছে হয়ত ৯ কেজি হতে পারে আসলে এত কম হয়নি।
ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান সরকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চাউল বিতরনে কোন অনিয়ম হয়নি ১০ কেজির কাছে হয়ত ৯ কেজি হয়েছে কারো তবে ৬/৮ কেজি কেউ পায় নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃপ্তি কনা মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।