আজ শনিবার ঐতিহাসিক বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ৬ টি কলেজের ছাত্র-শিক্ষক এবং স্থানীয় সুধিজনদের অংশগ্রহণে গুণগত শিক্ষা এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়নে আয়োজিত এক সূধী সমাবেশে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।
উক্ত সমাবেশে উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মান উন্নয়নে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া লিংক উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস সংস্কারের রূপরেখা উল্লেখ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি এবং অন্যান্য সংক্ষিপ্ত টেকনিক্যাল কোর্সের প্রস্তাব করেন তিনি।
ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীতে স্নাতক সম্মান কোর্সের সাথে সাথে এ সমস্ত যেকোনো একটি টেকনিক্যাল কোর্সে বাধ্যতা- মূলকভাবে পড়াশোনা করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কলেজ পর্যায়ে টেকনিক্যাল কোর্স পাঠদানে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিতির হার বাড়ানো, এসাইনমেন্ট এবং ইনকোর্সগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং কলেজের লাইব্রেরীগুলোতে পর্যাপ্ত রেফারেন্স বইয়ের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণসহ দেশের সর্বস্তরের কলেজসমূহের ভৌত অবকাঠামো উন্নতিকল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি ২০২৫ সালকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাবর্ষ হিসেবে ঘোষণা দেন এবং এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, এই মুহূর্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে দ্রুত গতিতে থেমে থাকা পরীক্ষাগুলো আয়োজন করছে তাতে আগামী বৎসরের নভেম্বর ডিসেম্বর নাগাদ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট প্রায় ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন ।