ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে গেলে অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে: সিইসি
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন করতে হলে তফসিল ঘোষণাসহ ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন কানুন বিধি বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘আরএফইডি-টক’ অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিইসি বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়। বাস্তবায়ন করা কঠিন। সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছেন, এটা ইসির এখতিয়ার। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারো হস্তক্ষেপ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। এর মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি বিএনপির তরফে বলা হয়, আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে সংসদ নির্বাচন চান তারা।
সবশেষ ২৩ জানুয়ারি ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ পটুয়াখালীতে বলেছেন, এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো, এই যে ভোটার কার্যক্রম- এটাকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, কীভাবে নির্ভুল করা যায়, কীভাবে আরও সুষ্ঠু করা যায়- প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ২০২৫ সনের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সনের পয়লা মাসে যদি ভোট হয়, নিশ্চয়ই আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ সুন্দর হবে। উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট করার প্রত্যাশা করেন তিনি।