শিরোনামঃ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রচন্ড গরমে অর্ধেকে নেমেছে বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাহিরের দুষিত পানি নন্দন পার্কে প্রবেশ করায় নষ্ট হচ্ছে পর্কের পরিবেশ  বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ যুদ্ধকে ‘না’ বলুন যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না বেনাপোলে নারী মাদক ব্যবসায়ী রূপার যাবজ্জীবন দাঁড়ানো কাভার্ড ভ্যানে সিএনজির ধাক্কা নিহত-১ আহত-৪ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী আটক সলঙ্গা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সিভি জমা দিলেন সোহেল রানা সিরাজগঞ্জে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ বকনা বাছুর বিতরণ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ ইকবাল হোসেন মামুন! এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার

যমুনার বুকে দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেল সেতু

কলমের বার্তা / ৫৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

টাঙ্গাইলে যমুনার বুকে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। বর্তমানে সেতুর ৬২ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। এই রেল সেতুতে দেশি-বিদেশি প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিকের নিরলস শ্রম ও ঘামে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে রেল যোগাযোগের বৃহৎ এই রেল সেতু।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে। তবে ৩ থেকে ৪ মাস অতিরিক্ত মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুটি হবে সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকে। দুই পাশে নির্মাণ করা হবে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট। ৭ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার সংযোগ রেললাইন। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে করছে জাপানের ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ৫০ থেকে ২৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত রেলসেতু নির্মাণ করছে। সিরাজগঞ্জ অংশের ১ নম্বর পিলার থেকে ২৩ নম্বর পিলার পর্যন্ত কাজ করছে জাপানি আইএইচআই, এসএমসিসি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে দেড় কিলোমিটার ওপরে দৃশ্যমান হয়েছে সেতু।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা কাজ করছেন। ১০৩ জন বিদেশি প্রকৌশলীসহ দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৭০০ জনের বেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন।
নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, দেশের এতবড় মেগা প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে নিজেদের গর্বিত মনে করছি। এছাড়া সকল ধরনের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা সেফটি ফাস্টের আওতায় কাজ করছেন। এরমধ্যে কেউ বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করছেন, কেউ ক্রেন দিয়ে সেতুর নির্মাণ সামগ্রী ওঠা-নামা করছেন, কেউ রেললাইনে পাথর ফেলে সমান করছে, কেউ নাট-বল্টু টাইট দিচ্ছেন, কেউ স্পিড বোট দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের স্থলভাগ থেকে আনা-নেওয়া করছে। সবমিলিয়ে রেল সেতু নির্মাণে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে।
নেপালি প্রকৌশলী অমৃত তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, কাতার, ওমান, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের এই বৃহৎ রেল সেতু নির্মাণ কাজ করে ইতিহাসের একটি অংশ হতে চলেছি। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষের সাথে কাজ করতে পেরে খুশি ও আনন্দিত। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৫০ থেকে ৩৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত স্পেন বসানো শেষ। ৩৪ থেকে ২৪ নম্বর পিলারের দিকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমও চলছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সেতু নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল ও পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এর ওপর দিয়ে চলবে ৮৮টি ট্রেন। সাধারণ ছাড়াও দ্রুত গতির (হাইস্পিড) ট্রেন চলাচলে সক্ষম করে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের পর ১ বছর) ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক ফাত্তাহ আল মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সেতুর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের পূর্ব অংশের সংযোগ রেললাইন নির্মাণের কাজও শেষের দিকে। পশ্চিম অংশে আগে সংযোগ রেললাইনের কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। শত বছর পরও এই রেল সেতুর তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এ পর্যন্ত ৬২ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

72


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর