শিরোনামঃ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রচন্ড গরমে অর্ধেকে নেমেছে বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাহিরের দুষিত পানি নন্দন পার্কে প্রবেশ করায় নষ্ট হচ্ছে পর্কের পরিবেশ  বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ যুদ্ধকে ‘না’ বলুন যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না বেনাপোলে নারী মাদক ব্যবসায়ী রূপার যাবজ্জীবন দাঁড়ানো কাভার্ড ভ্যানে সিএনজির ধাক্কা নিহত-১ আহত-৪ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী আটক সলঙ্গা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সিভি জমা দিলেন সোহেল রানা সিরাজগঞ্জে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ বকনা বাছুর বিতরণ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ ইকবাল হোসেন মামুন! এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

লালমনিরহাটের রাজনীতি’র হালচাল!

কলমের বার্তা / ৬৪৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আসছে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৩। নির্বাচনকে ঘিরে লালমনিরহাট হঠাৎ করে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি দল বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠ দখলের চেষ্টা করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা প্রতিরোধের ডাক দিচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ৩টিতে বিএনপি ও ২টিতে আওয়ামী লীগ নিজের অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টিও সাংগঠনিক ভাবে সু-সংগঠিত হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি বিএনপি’র নানা কর্মসূচি জেলা’র সদর, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বাঁধা ছাড়ায় পালিত হয়েছে। কিন্তু হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তেমন কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি বিএনপি। হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় বিএনপি কর্মসূচি দেয়ার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে তা প্রতিহত করেছে। কিন্তু জেলা সদর, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি’র কর্মসূচি’র বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।

গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের সম্মেলনে বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের শহর জুড়ে শো-ডাউন নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। এর আগে সদর উপজেলার বড়বাড়ীতে ফুটবল খেলার আদলে ৭ দিন ধরে বিএনপি’র নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যে কর্মসূচি গুলোতে হাজার হাজার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা অংশ-গ্রহণ করেন। এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা-কর্মীরা বলছে, সারা দেশে যখন বিএনপি তাদের কর্মসূচিতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে ঠিক তখন লালমনিরহাট জেলা সদরে একের পর এক বিএনপি কর্মসূচি সফল হচ্ছে কি ভাবে? এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা মনে হচ্ছে।

এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ জেলার সদর আসনের সংসদ সদস্য। জাতীয় পার্টি ছেড়ে যারা অন্য দলে চলে গেছেন তাদের দলে ফিরে আনার জন্য তিনি কাজ করছেন। তাদের দাবি দলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সু-সংগঠিত করা হবে।

লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি’কে কোন-ঠাসা করে রেখেছেন। এ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বেশি ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন। ফলে নেতাদের সাথে তার যোগাযোগ থাকলেও কর্মীদের সাথে যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এ দুই উপজেলায় বিএনপি’র চেয়ে জাতীয় পার্টি ও জামাতেই অনেকটা সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী।

হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলায় বিএনপি’র সাংগঠনিক অবস্থান এতটা দুর্বল যে দলীয় কার্যালয়েও আওয়ামী লীগের বাঁধার ভয়ে অনেকটা পুলিশী পাহাড়ায় কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগও রয়েছে ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানের বিরুদ্ধে।

লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য সমাজকাল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় দলকে তেমন সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে না পারলেও বিএনপি’র প্রার্থী রোকন উদ্দিন বাবুল দলকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা করছেন। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন বিএনপি।

তবে সম্প্রতি মন্ত্রী পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ দলকে গতিশীল করতে চেষ্টা শুরু করেছেন। পাশাপাশি মিজানুর রহমান মিজু কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলীয় নানা কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে।

লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ জেলায় জাতীয় পার্টির তেমন সাংগঠনিক অবস্থান নেই বলে চলে। বিএনপি’র একের পর এক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের মাঠ পযার্য়ের নেতা-কর্মীদের সমালোচনায় জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা বিপাকে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মীদের অভিযোগ দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বিএনপি’র কর্মসূচির বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি দিতে পারছে না আওয়ামী লীগ।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়, সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেয়ার সাহস পাচ্ছে না।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, বিএনপি শান্তিপুর্ণ কর্মসূচি করলে করতে পারে। কিন্তু কর্মসূচির নামে যদি ঘোলা-পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেন তাহলে সঠিক জবাব দেয়া হবে। লালমনিরহাটের সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে আছেন।

 

116


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর