শিরোনামঃ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে মমিনুর দম্পতির শোকজের ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি! শার্শায় ওষুধ ফার্মেসীতে দু:সাহসিক চুরি সংগঠিত  বেতাগীতে গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সিরাজগঞ্জ জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মৌসুমী বন্যায় আগাম সাড়াদান প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শার্শায় মাদক মামলায় একজনের ৭ বছরের জেল প্রচার-প্রচারের শেষ দিনে সিরাজগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের ব্যাপক শোউন ও ভোট প্রার্থনা অবশেষে শার্শা-বেনাপোলে দেখা মিলল কাঙ্খিত বৃষ্টি অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল

নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন!

কলমের বার্তা / ২১০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি অনৈতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলসুম বেগম (৬০) নামে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্থানীয় দুই যুবক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার পমপাথুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নির্যাতিত কুলসুম বেগম ওই এলাকার মৃত সুরত আলীর স্ত্রী।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন জানান, কুলসুম বেগমের স্বামী সুরত আলী অনেক আগে মারা গেছেন। তার চারটি মেয়ে, কোনো ছেলে সন্তান নেই। তাই মেঝো মেয়ে রফেলার বিয়ের পর থেকেই তার নিজ বাড়িতে জামাই নিয়ে বসবাস করেন।

আজ রাতে স্থানীয় লোকজন শাশুড়িকে জামাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন এমন অভিযোগ এনে ওই নারীকে হেনস্থা করেছেন দুই যুবক। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং ওই নারী ও তার জামাইকে উদ্ধার করা হয়।

তবে উদ্ধারের সময় ওই নারীকে স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেছে। গাছে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনা পুলিশ যাওয়ার আগে ঘটেছে বলে স্থানীয়দের মারফত ও ওই নারী এবং জামাই আবুল কাশেমের জবানবন্দিতে জানা গেছে।

এ ঘটনার সঙ্গে প্রতিবেশী আলমের ছেলে রতন ও বকুলের ছেলে উজ্জল জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। ওসি বলেন, ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কুলসুম বেগম বলেন, আমার ছোট মেয়ের বাচ্চা হওয়ার কারণে মেঝো মেয়ে রফেলাসহ অন্য মেয়েরা তাকে দেখতে হাসপাতালে যায়। বাসায় আমি ও জামাই ছিলাম। হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে গায়ে জ্বর এলে বিষয়টি জামাইকে বলি। এ অবস্থায় জামাই বাজারে গিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ কিনে এনে আমাকে দিতে ঘরে প্রবেশ করে।

এর কিছুক্ষণ পরেই প্রতিবেশী আলমের ছেলে রতন ও বকুলের ছেলে উজ্জল হইচই করতে থাকে। এসময় জামাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম বলে অপবাদ দেয়। একপর্যায়ে তারা কাদা পানির মধ্যে দিয়ে টেনে জনসম্মুখে বাড়ির বাইরে নিয়ে ডাব গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং মারধর করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় থাকার কথা সঠিক নয়। তারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমি তদন্ত করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

তবে অভিযুক্ত রতন আলী ও উজ্জল হোসেন মোবাইল ফোনে দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা জামাই-শাশুড়ি অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তবে তাড়াহুড়া করে গাছে বেঁধে ফেলেছিলেন ঠিকই কিন্তু কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তারা ভুল স্বীকার করে বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ঠিক করিনি।

136


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর