বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা

বেনাপোলের গোল্ড নাসিরসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি / ৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

যশোরের রাজারহাট থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি স্বর্ণের বারসহ একটি প্রাইভেটকার ফেলে পালানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন বেনাপোলের একাধিক মামলার আসামি গোল্ড নাসির ও গাড়ির মালিক শফিক। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। সিআইডি পুলিশ ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো সরদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন ওরফে গোল্ড নাসির ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামের মোবারকের ছেলে শফিক। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিআইডি পুলিশের ঢাকার ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম। তদন্তে উঠে আসে রাজারহাট থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সোনা ছিলো নাসিরের। এছাড়া ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শফিক নিজে।

মামলা সূত্রে যানা যায়, স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৫-৯৫৭৭) ঢাকা থেকে যশোরে আসছে বলে গোপন সংবাদে জানতে পারে বিজিবি। তাৎক্ষণিক খুলনা সেক্টরের অধীনস্ত যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এবং খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) যশোরের রাজারহাট এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা ধাওয়া করে। বিজিবিকে দেখে ওই প্রাইভেটকার ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরে বিজিবি বিশেষ কায়দায় লোকানো অবস্থায় ওই গাড়ি থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি সোনার বার উদ্ধার করে। তৎকালীন সময়ে যার দাম ছিল আট কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এঘটনায় যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তে নামে সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম। তারা গাড়ির কাগজপত্র বাছাই করে মালিকের সন্ধানে নামেন। অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শাহ আলম নামের একজনের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনেন শফিক। এরপর শফিকের নাম্বার সংগ্রহ করে কললিস্ট যাচাই বাছাই করেন। এরমাঝে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নাসির অস্ত্র, গুলিসহ আটক হন গোল্ড নাসির। পরে নাসিরের সাথে শফিকের সম্পৃক্ততা পায় সিআইডি পুলিশ। এমনকী ঘটনার আগে তাদের দুজনের সাথে ৪৪ বার মোবাইলে কথা হয়। সেসব কললিস্ট ও অবস্থানের সার্বিক অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই সোনার চোরাচালানের সাথে জড়িত হচ্ছে নাসির ও শফিক। এ বিষয়ে শফিককে একাধিকবার নোটিশ দিলেও কর্ণপাত করেন না তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে সিআইডি পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়।

এদিকে, স্থানীয়রা জানান গোল্ড নাসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে বের হয়ে ফের অস্ত্র-সোনাসহ নানা ধরণের অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছেন। রাজনীতির ভোলপাল্টে তিনি এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া প্রায় তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েকজনের সাথে তার দহরম মহরম সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর