শিরোনামঃ
সলঙ্গায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার-৬টি সোনালী রংয়ের মুর্তি উদ্ধার কোনাবাড়ীতে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার অনাবাদি জমি সমবায়ের মাধ্যমে চাষ করুন নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্রহ্মপুত্রের পূর্বাভাস জানাবে চীন সম্পর্ক জোরদার করতে আসছেন ডোনাল্ড লু অনুমোদনহীন ক্যানটিন-ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশের ভোট, জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস মালয়েশিয়ায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট পাবেন বাংলাদেশিরা বর্জ্য দিয়ে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ পরিচ্ছন্ন হবে ঢাকা নগরী এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরে, সোমবার পৌঁছাবে কক্সবাজারে নতুন অর্থবছরে সব ধরনের কর হিসাব হবে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে সলঙ্গায় অবৈধভাবে পুকুর খনন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সংবাদ প্রকাশের জেরে সাইবার আইনে মামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন শাশুড়িকে অপহরণের দায়ে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা সিরাজগঞ্জে মৃত শ্রমিকের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, আহত-১ অসহায় মানুষদের জন্য ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা,বেনাপোল থেকে স্বামী আটক বেতাগীতে সততা চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করণে বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা

কাজিপুরে রোজার আগেই গৃহহীনদের মাঝে ঈদের আমেজ

কলমের বার্তা / ৯৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

গোলাম কিবরিয়া খান, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে চতুর্থ পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে যাচ্ছে ১৭০ টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার। অনাদরে অবহেলায় জীবনের অনেকটা সময় পার করা এসব ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারের সদস্যগণ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তারা পাকা ঘরসহ জমি পাবেন। তাদের সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। আজ তারা অন্য সবার মতো জমিসহ পাকা ঘরের মালিক। এই নিয়ে কাজিপুরের মোট ৩৭২টি পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলাকে আগামী ২২ মার্চ -২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করবেন।

২০ মার্চ সোমবার দুপুরে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী অনিক ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা।

কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে , চতুর্থ পর্যায়ে উপজেলার সোনামুখী, লক্ষিপুর ও চরগিরিশে ১৭০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলের চরগিরিশে ১৪০ টি ব্যারাক নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনেফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে এই ঘরগুলোর উদ্বোধন করবেন। আর এর মাধ্যমে কাজিপুর উপজেলাকে গৃহহীন ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৩৫ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৫ টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১১২ টি ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার সোনামুখী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন তিন সন্তানের জননী রেনুকা খাতুন। তিনি জানান, স্বপেনও ভাবি নাই আমার জমি ও পাকা ঘর হইবো। ছোটবেলায় বাপে বিয়া দিছিলো। তিন মেয়ে রাইখা উনি(স্বামী) মারা গেছেন দশ বছর আগে। অন্যের বাড়ি ঝিয়ের কাজ হইরা ছলপলগোরে বড় হরছি। দুইজনকে বিয়া দিছি। এহনো আমি অন্যের বাড়িতে কাম করি আর সেহানেই থাকি। আইজ জমি ও ঘর দিলো আমাগোরে প্ররধানমন্ত্রী। আমি আইজ খুইব খুশি। আল্লাহ শেখের বেটিরে বাঁইচা রাখুক।
আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন বাক প্রতিবন্ধী চন্দনা রানী। তার তিনকূলে কেউ নাই। দূর সম্পর্কের এক বোনের বাড়িতে থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে পেট চলে তার। ঘর পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আনন্দে তার দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। ইশারায় তিনি সেই আনন্দ প্রকাশ করেন। হাতের ঈশারায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলার লক্ষীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঘর পাওয়া দিনমজুর সেলিম রেজা। জন্মের পর থেকে বেড়ে উঠেছেন অন্যের বাড়িতে। বুঝ হবার পরেই পেট চালানোর তাগিদে বাপে তাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করেছেন। অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানেই জীবনের ৬২ টি বছর পার করেছেন। আজ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে তিনি আনন্দে আত্মহারা। সেলিম রেজা জানান, মনে হইতাছে আইজকা আমার জীবনের ঈদ। এতো আনন্দ কখনও পাই নাই। জন্মের পর থেকে সবার দূরদূর ছাইছাই শুনে, লাঠিঝাটা খেয়ে বড় হইছি। আইজক্যা নিজের নামে জমি ও ঘর পাইলাম। এহন আর কেউ আমাকে তাড়াইয়া দিতে পারবো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঋণ শোধ কইরবার পারমু না। শুধু প্রাণভরে দোয়া করমু।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার জানান, ১৭০ টি ঘরের মধ্যে আজ ১৫৪টি পরিবারকে বুঝে দেয়া হচ্ছে। কেউ বাদ পড়লে বাকি ঘরগুলোতে তুলে দেয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের জন্যে রাতদিন খুঁজে খুঁজে প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্বাচন করেছি। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দলিল উপহার দিতে পেরে ভালো লাগছে। এই কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিলো। জমি উদ্ধার, শ্রেণি পরিবর্তন, দলিল তৈরি, নথি সৃজন করার মতো কাজগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হয়েছে। এসব কাজের কষ্ট ভুলে গেছি যখন আশ্রয়ণে ঘর পাওয়া পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি দেখেছি।

93


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর