শিরোনামঃ
স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাজুর বাবার দাফন সমপন্ন আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার বদলে যাবে হাওরের কৃষি বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের ‘তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’ অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড় এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী দশতলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু বাগবাটি রাজিবপুর অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে হুইল চেয়ার বিতরণ সিরাজগঞ্জ পৌরকর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত  কাজিপুর খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো -ধান চাউল সংগ্রহ এর উদ্বোধন আদিতমারীতে ধান-চাল ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু নিবির হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরেক শিশু বেনাপোল সীমান্তের চোরা পথে ভারতে যাবার সময় মিয়ানমার নাগরিকসহ আটক-৪ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্নহত্যা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা

আসাদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

চেয়ারম্যানের হরিলুট ভেস্তে দিলেন ইউএনও

কলমের বার্তা / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের গাছ কেটে হরিলুটের রমরমা ফন্দি এটেছিলেন চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী। এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন। সমস্ত গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদ নেওয়ার নির্দেশসহ সড়কের কাজ সাময়িক বন্ধ করে দেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের ভুল্লী-ফাড়াবাড়ীর গ্রামীণ একটি সড়কে।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে সরেজমিনে এসে ইউএনও কথা বলেন গাছ কাটা শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। তারা ইউএনওকে জানান বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানের নির্দেশে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে।

এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের শ্রমিকরা জানান, প্রায় ২০০ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার মজুরি চেয়ারম্যান দেবেন বলেও জানান শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের পাশে সরকারি জমিতে চুক্তিভিত্তিক গাছ রোপণের পর তা ৩০ বছর ধরে পরিচর্যা করে আসছেন স্থানীয় কয়েকজন উপকারভোগী নারী। ভুল্লী- বড়গাঁও থেকে ফারাবাড়ী প্রায় ৮ কিলোমিটার এ সড়কে ১৯৯২ সালে গাছ লাগানো প্রকল্পের আওতায় প্রথম পক্ষ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ,দ্বিতীয় পক্ষ অরগানাইজেশন ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (ওআরডি) ও তৃতীয় পক্ষ বনলতা মহিলা উন্নয়ন দলের স্থানীয় দশ জন নারীর সঙ্গে চুক্তিনামা হয়। ওই চুক্তিনামায় প্রত্যেক নারী ১৫০টি করে গাছ রোপণ করলে মোট ১ হাজার ৫০০ গাছ রোপণ করা হয়। যার ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর মেয়াদ রয়েছে। এ সময়ের পর গাছগুলো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কেটে মুনাফার একটি অংশ পাবেন ওইসব নারীরা।

কিন্তু এরমাঝেই সড়ক প্রস্তুকরণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। তবে সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলেছে ওই নারীদের অভিযোগ।

উপকারভোগী এসব নারীদের অভিযোগ, আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের কারো কথা শোনা হয়নি। পরে আমরা ইউএনও স্যারকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন। কিন্তু এরইমাঝে কিছু গাছ, গাছের পাতা ও ডালপালা হরিলুট হয়ে গেছে।
বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানের দাবি, শুক্রবার (১৫ মার্চ) ঠিকাদার রাস্তার বক্সকাটিং করার সময় ভেকু মেশিন ব্যবহার করার ফলে গাছগুলো উপড়ে গেছে। গাছ যাতে লুট না হয় এজন্য ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হচ্ছিল।

গাছ ও পাতা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, পাতা বিক্রি করা হয়েছে, এখনো গাছ বিক্রি করিনি। কার নির্দেশে পাতা বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

তবে ঠিকাদারের দাবি গাছ উপড়ে ফেলার মতো কোনো নির্দেশনা ভেকু চালকের প্রতি তার ছিল না। তিনি বলেন, যেখানে গাছ কাটা হয়েছে এর আগে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বক্সকাটিং করা হয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ বক্সকাটিংয়ের কাজ চলছে। কোনো গাছ কাটা বা উপড়ে ফেলা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি ভেকু গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, স্থানীয় কিছু লোকজন জোরপূর্বক তাকে দিয়ে গাছগুলো উপড়ে ফেলেছে এবং বলেছে তারা নাকি গাছগুলো নিয়ে যাবে। আমি ঠিক চিনি না তারা কারা। এ ঘটনায় তদন্তে সব সত্য বেরিয়ে আসবে।

এদিকে সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার কী নিয়ম আছে জানতে চাইলে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের সব বিষয়ে মাথা না ঢুকাতে বলেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গাছ কার নির্দেশে কাটা হয়েছে বা উপড়ে ফেলা হয়েছে এগুলো তদন্তের বিষয়। তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে চাই না। তবে এতগুলো গাছ কাটা অনৈতিক কাজ হয়েছে। আপাতত সড়কের বক্সকাটিংয়ের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীরা আইনের আওতায় আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

 

46


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর