মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার সময় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের কেয়ারটেকারসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টার সময় দুই যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন,সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার
চাঁদপুর গ্রামের মৃত রবিউল ইসলাম এর ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৩) এবং ভোলা জেলার সদর থানার চরভেদুরা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে সুফিয়ান (২৪)। তারা উভয়ে কাশিমপুর থানাধীন মাধবপুর উত্তর পাড়া এলাকায় রেজাউল করিম এর বাসায় ভাড়া থেকে একটি কারখানার গোডাউনে প্যাকেজিং এর কাজ করতো।
আটককৃতরা হলেন, মাহবুব, শান্ত, জাহিদ ও ওই বাসার কেয়ারটেকার বকুল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,তারা উভয়ে স্থানীয় রেজাউল করিম এর বাসায় ভাড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে একটি কারখানার গোডাউনে প্যাকেজিং এর কাজ করতো। মঙ্গলবার ওই কারখানার মালিক কেয়ারটেকার বকুলকে ফোন করে জানতে চান কেন রাসেল ও সুফিয়ান সারাদিন কারখানায় আসেনি? পরে রাত ১০ টার সময় কেয়ারটেকার বকুল বাসায় গিয়ে দেখে তাদের গলাকাটা মরদেহ ওই কক্ষের মেঝতে পরে আছে। পরে কাশিমপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
জানাযায় ওইভবনের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত রাজু ক্যাডেট একাডেমি নামে একটি স্কুল ছিলো। চতুর্থ তলায় ওই দুই যুবক ব্যাচলর ভাড়া থাকতেন।
রাজু ক্যাডেট একাডেমি স্কুল এর পরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন,মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার সময় ওই ভবনের কেয়ারটেকার বকুল ফোন করে আমার কাছ থেকে চাবি নেয়। পরবর্তী চাবি চাইলে পাশের দোকানে চাবি রাখা আছে বলে জানায়। পরে বকুল রাত ১০ টার সময় ফোন করে বলে স্কুলে আসেন। স্কুলে এসে দেখি প্রশাসনের লোক এবং ফ্লোরের ওই দুই যুবকের মরদেহ পরে আছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।