তাড়াশে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন,হত্যাকারী ভাগ্নে রাজীব গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার নিজ বাড়িতে মামা, মামী ও মামাতো বোনকে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করার ঘটনায় জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক (৩৫)কে গ্রেফতার করছে ডিবি পুলিশ দায় স্বীকারোক্তি করেছে খুনী রাজীব ভৌমিক । এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া ও লোহার রড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, তাড়াশ পৌর এলাকার কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)।
নিহত রাজিবের মামা,মামি ও মামাতো বোন
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল (বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে তাড়াশ থানায় বাদী হয়ে নিহত স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি ও তাড়াশ থানা পুলিশের একটি চৌকসদল ট্রিপল মার্ডারের সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজিব ভৌমিককে গ্রেফতার করে। হত্যার সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথের ছেলে।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে রাজিব ভৌমিক জানান, নিহত মামা বিকাশ চন্দ্র সাহা ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের সঙ্গে মাছের খাদ্যের ও স্টক ব্যবসা করতেন ।
ভাগ্নে রাজিব ভৌমিকের ব্যবসার জন্য মামা বিকাশ সরকার নিকট ২০ লক্ষ টাকা নেয়। নিহত বিকাশ সরকার মূলধন সহ সমদয় টাকা ফেরত চাইলে ভাগ্নের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়।
এর জের ধরে গত ২৭শে জানুয়ারি বিকেলে রাজীব কুমার ভৌমিক হত্যার পরিকল্পনা করে মামার বাসায় আসে। রাজীব মামার বাসায় গেলে ভাগ্নের জন্য মামী নিচে গিয়ে কফি আনতে যায়। এসময় বোন তুষির সাথে কথা হয় রাজীবের। মামাতো বোন পারমিতা সরকার তুষি যখন বলে দাদা তুমি টাকা দাও না এ জন্য আমাদের পরিবারের ভিতরে ঝগড়া হয়। এ কথার পরেই কৌশলে রড দিয়ে মামাতো বোন পারমিতা সরকার তুষিকে হত্যা করে। পরে মামি কফি নিয়ে বাসায় আসলে স্বর্ণা সরকারকে রড দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে মামা বিকাশ চন্দ্র সরকারকে মোবাইল ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলে। মামা বিকাশ চন্দ্র সরকার বাসায় আসলে তাকে একই কায়দায় হত্যা করে রাজীব কুমার ভৌমিক। তিনজনকে হত্যার পর লাশ টেনে বেডরুমে তালা মেরে উল্লাপাড়ায় রওনা হয় রাজীব কুমার ভৌমিক যাওয়ার পথে হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রড একটি পুকুরে ফেলে দেয় এবং রক্তমাখা হাসুয়া সহ ব্যাগটি তার নিজ বাড়ীতে রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামী রাজীব কুমার ভৌমিক এ চাঞ্চল্যকর কুলেস ট্রিপল মার্ডারের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।