• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেড়ায় তীব্র গরমে পথচারীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেবা প্রদান বারিতে সার্ক অঞ্চলে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার টেকনোলজিস বিষয়ক সমাপনী কর্মশালা ছোনগাছা ইউনিয়নের পাটচাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পাটবীজ ও সার বিতরণ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে শতাধিক ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটক সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের মে দিবসের প্রস্তুতি সভা লালমনিরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ রায়গঞ্জে শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত

পদ্মা সেতুর পর আরেক চমক আসছে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল

কলমের বার্তা / ১৩০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

বর্তমান সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সমুদ্র তলদেশ দিয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। স্বপ্নের এ টানেল নির্মাণ কাজের আর মাত্র অবশিষ্ট রয়েছে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি টানেলের উভয়প্রান্তে এ্যাপ্রোচ রোডের কাজও ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর পর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিতব্য টানেলই হবে আরেক চমক।

নির্মাণাধীন টানেলে বর্তমানে উচ্চ ঝুঁকির তিনটি ক্রস প্যাসেজের মধ্যে একটির কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অপর দুটির কাজ এগিয়ে চলেছে। টানেল অভ্যন্তরে ভেন্টিলেশন, কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ অন্যান্য কাজে ৮ শতাধিক মেটেরিয়াল চীনের সাংহাই থেকে আসছে। সাংহাইতে করোনার কারণে গত মার্চ থেকে টানেলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম আনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর পরও টার্গেট অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ পর্যায়ে টানেল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, টানেল অভ্যন্তরে দুই টিউবের প্রথমটির লেনস্ল্যাব স্থাপন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় টিউবে অনুরূপ লেনস্ল্যাব স্থাপন কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম টিউবে পেভমেন্ট স্থাপন কাজ এগিয়ে চলেছে। এরপর দ্বিতীয় টিউবে অনুরূপ পেভমেন্ট স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প দফতর সূত্রে জানা গেছে, টানেলে উপরোক্ত কাজের পাশাপাশি ইলেকট্রোনটিক্যাল কাজের তৎপরতা চলছে। সাংহাই থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অনুষঙ্গ আসতে বিলম্ব হলেও অন্যান্য কাজ এগিয়ে নিয়েছে চীনের কর্মরত প্রায় আড়াইশ’ কর্মী। তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন বাংলাদেশী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মীবাহিনী।

সূত্র জানিয়েছে, এ প্রকল্পে যাবতীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ হয়ে আসছে চীন থেকে। চীনে করোনার ধাক্কা সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে আঘাত করার কারণে টানেলের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হলেও তা বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। টানেলের দুটি টিউব প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বহু আগে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কারিগরি কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও চীনের একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন্স কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেয়ার ব্যাপারে গত ১৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটারের এ টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের জন্য সিসিসিসিকে নিযুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হারুনুর রশীদ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে জলোচ্ছ্বাসে কোনভাবে টানেল অভ্যন্তরে সমুদ্রের নোনাপানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়টি চউকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। চউক সূত্র জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার একটি রিং রোড নির্মিত হয়েছে, যার সঙ্গে টানেলের সম্পৃক্ততা থাকছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে নির্মিত হয়েছে সিটি আউটার রিং রোড। টানেলের দক্ষিণ প্রান্তেও ঘূর্ণিঝড় বা উচ্চমাত্রার জলোচ্ছ্বাসের পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, টানেলের পুরকৌশল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। শুরু থেকে এ কাজ এগিয়েছে সুষ্ঠুভাবে। টানেল নির্মাণ কাজ শুরুর পর দুই বছরের বেশি সময় করোনার সংক্রমণ থাকলেও এতে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। টানেল নির্মাণ কাজে চীনা এবং বাংলাদেশী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নির্মাণযজ্ঞ এগিয়ে নিয়েছে। যার ফলে সরকার আগামী ডিসেম্বরের শেষদিকে টানেল উদ্বোধনের যে টার্গেট দিয়েছে সে অনুযায়ী সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারিত আছে। মূলত টানেলের খনন কাজের পর দুই টিউবের অভ্যন্তরে একটির সঙ্গে আরেকটির মাঝখানে ক্রসপ্যাসেজ থাকবে তিনটি। এসব ক্রস প্যাসেজ নির্মাণ কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ কাজও এগিয়ে চলেছে সফলতার সঙ্গে। যার কারণে প্রথমটির কাজ ৯০ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, দুই টিউব সংবলিত মূল টানেল হবে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে। এর মধ্যে টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের উদ্বোধন করেছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ টানেল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। টানেল নির্মাণে সব সেগমেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে চীনের জিন জিয়াং প্রদেশে।

76


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর