• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগী উপজেলার সেরা স্বেচ্ছাসেবক খাইরুল ইসলাম মুন্না বেতাগীতে যুব ফোরাম’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন স্বপ্নসারথি দলের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন সেশন ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ  অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড পেলেন বরিশালের কিশোর বালা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সিরাজগঞ্জের মোঃ অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম বিদায় বেলায় ভাঙ্গুড়ার ইউএনওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সাধারণ মানুষ রায়গঞ্জে সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত পাতানো নিয়োগ বাস্তবায়ন করল ডিজির প্রতিনিধি তিন বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে যুবকের আত্মহত্যা কুড়িগ্রামে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভূট্টা বোঝাই ট্রাক সহ ড্রাইভার উধাও ১১ দিন পর ঢাকায় আটক জয়পুরের হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কুড়িগ্রামে কিশোরী ও শিশুদের মাঝে স্যানিটারী ন্যাপকিন ও টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সামগ্রী  বিতরণ  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ বেড়ায় একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বর্ণাঢ্য র‍্যালী অবরোধের সমর্থনে কোনাবাড়ীতে বিএনপির মশাল মিছিল  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে ৬ টি আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ সিরাজগঞ্জে  বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস  উপলক্ষ্যে র‍্যালি  প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তেজগাঁওয়ে টেলিকম টাওয়ার তৈরি করবে বিটিসিএল

কলমের বার্তা / ১০৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০২২

দেশের টেলিকম খাতের বিভিন্ন সংস্থাকে একই ছাদের নিচে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। ছোট টেলিকম ব্যবসায়ীরাও এ সুবিধা নিতে পারবেন। এ জন্য টেলিকম টাওয়ার নির্মাণ করবে বিটিসিএল। বিটিসিএল বলছে, এটি হবে দেশের প্রথম টেলিকম টাওয়ার।

প্রায় চার একর জায়গায় টেলিকম টাওয়ারটি তৈরি করবে বিটিসিএল। সংস্থাটির তথ্যানুসারে, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের পাশে নিজস্ব জমিতে এই টাওয়ার হবে। নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২ কোটি টাকা। টাওয়ার নির্মাণের অর্থায়ন বিটিসিএলই করবে। সম্প্রতি এ টাওয়ারের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও পেয়েছে তারা। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার কথা আছে।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, দেশে অনেক টেলিকম প্রতিষ্ঠান আছে, যারা জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েসহ (আইআইজি) টেলিকম খাতের ছোট ব্যবসায়ীদের এ টাওয়ারে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এতে অবকাঠামোগত সুবিধাসহ, নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকবে। একই ছাতার নিচে সংস্থাগুলো আনতে পারলে তাদের ব্যবসার খরচ কমে যাবে, কানেকটিভিটি সহজ হবে। টেলিকম খাতের ব্যবসায়িক খরচ কমলে এর সুফল গ্রাহক পর্যায়েও পড়ে বলে দাবি করেন তিনি।

পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ২০২৭ সাল নাগাদ তা শেষ হওয়ার আশা করছে বিটিসিএল। আয়ের উৎস বাড়াতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে টাওয়ারটি নির্মাণ করছে সংস্থাটি। টেলিকম খাতের পাশাপাশি অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকেও জায়গা ভাড়া দেওয়া হবে।

যেসব টেলিকম খাতকে মাথায় রেখে প্রকল্পটি করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় রফিকুল মতিনের কাছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কেব্‌ল শিল্প লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক, টেলিফোন শিল্প সংস্থার মতো প্রতিষ্ঠানের অফিস থাকবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে টাওয়ারের পূর্ণ নকশা কাঠামো নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা।

টেলকো খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আপাতত উদ্যোগটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তবে এর পরিচালনপদ্ধতি তৃতীয় পক্ষের কাছে না রেখে সরাসরি বিটিসিএলের হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। নয়তো যাদের জন্য এটি করা হচ্ছে, তারা এখানে জায়গা পাবে না।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এটা যেন কোনো একটা গ্রুপের কাছে জিম্মি না হয়। এর জন্য নীতিমালা করলে ভালো হবে। এতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে এবং ব্যবসায়ীদের খরচও কমবে।

আইএসপিএবি সভাপতি আরও বলেন, এই উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করতে হলে অ্যাকটিভ শেয়ারিং অনুমতির বিষয় আছে। কোনো এক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য কোনো জায়গায় যে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) বসাবে, তার পুরোটা হয়তো সে ব্যবহার করছে না। একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আরেক অপারেটরও সেবা দিতে পারে। তবে এর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদন নেই।

এ অনুমোদন থাকলে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের পুরো অবকাঠামো বসানোর প্রয়োজন হয় না। খরচ কমে যায়। ফলে সেবাও ভালো দেওয়া যায়। বিটিসিএলের টাওয়ারে যদি এই অনুমতি থাকে, তাহলে উদ্দেশ্য অনেকটা সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

55
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর