শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ রায়গঞ্জে শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত সিরাজগঞ্জে ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ পেলেন ৩১ জন প্রার্থী অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপন মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান গাজীপুরে ৭ একর বনভূমি উদ্ধার যোগ্যতা ও উন্নয়ন দেখে ভোট দিন-খলিলুর রহমান; কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তীব্র তাপদাহ,গাজীপুরে এক দিনে ২৩ ডায়েরিয়া রোগি ভর্তি কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের পাটচাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পাটবীজ ও সার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলাকে আবদ্ধ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়নুল হক আর নেই এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার

বাংলাদেশের কারণেই পূর্ব সীমান্তে শান্তি

কলমের বার্তা / ১৮৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘ভারতের পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র থাকার কারণে সেখানে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় আছে।’ শনিবার আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অতুলনীয় সেবা, ত্যাগ এবং সাহসিকতার জন্য রাজ্যটির বীর যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ গঠনের পর সবচেয়ে যদি কারও লাভ হয়ে থাকে তবে তা উত্তর-পূর্ব ভারত। কেননা দেশের পশ্চিমাঞ্চল সীমান্ত বরাবর আমরা যে ধরনের উত্তেজনা দেখতে পাই, ওই ধরনের উত্তেজনাময় পরিবেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কখনই আমরা দেখতে পাই না। তার কারণ হলো বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। একটা সময় এই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সমস্যা ছিল কিন্তু সেটাও এখন প্রায় প্রায় নেই বললেই চলে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন শান্তি ও সুস্থিতি দুটিই বিরাজ করছে। ভারতের কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে মেলবন্ধনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে উত্তর-পূর্ব ভারত অনেক বেশি উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট’ (আফস্পা) প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম সে সময় মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ থেকে ওই আইন প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সম্প্রতি আসামের ২৩টি জেলা এবং মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ১৫টি করে মোট ৩০টি পুলিশ থানা এলাকা থেকেও ওই আইন তুলে নেওয়া হয়েছে। ওইসব অঞ্চলগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার কারণেই এই আইন প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়েছে।’

তার অভিমত ‘মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা আছে যে, সেনাবাহিনী হয়তো সব সময়ের জন্য তাদের হাতে এই ক্ষমতা রেখে দিতে চায়। কিন্তু তা নয়। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখাটা সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সেটা দেখে রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। সত্যিটা হলো এই যে, ওই অঞ্চলের পরিস্থিতির ওপর বিচার করেই এই আফস্পা আইন প্রয়োগ করা হয়। এমনকি সামরিক বাহিনী (স্থল, বিমান, নৌ) চায় যে, জম্মু-কাশ্মীর থেকেও ওই আইন প্রত্যাহার করা হোক। কিন্তু কোনো কারণে যদি ওই আইন প্রয়োগ করা হয়, তার জন্য দায়ী সেখানকার গম্ভীর পরিস্থিতি, এর জন্য সেনাবাহিনী কোনো অংশেই দায়ী নয়। দেশবাসীর এটা বোঝা উচিত।’

এদিনের ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যটির রাজ্যপাল জগদীশ মুখী, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ জহির, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী প্রমুখ।

97


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর