শিরোনামঃ
সলঙ্গায় নুরানী কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে আশ- শেফা সেবা সংঘের উদ্যোগে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল সিরাজগঞ্জে জেলা পর্যায়ে ইনোভেশন শো কে‌সিং আইডিয়া উপস্থাপন প্রতিযো‌গিতা অনুষ্ঠিত বরগুনা স্বেচ্ছাসেবক সম্মেলন, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ বজলুর রহমানকে সম্মাননা ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক সহ গ্রেফতার ৭জন বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ কমছে ঈদের আগেই ‘সুখবরের’ আশা : জিম্মি নাবিক উদ্ধারে আলোচনায় অগ্রগতি কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন ভুটানের রাজার কারওয়ানবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু ডলার সংকট কাটছে উপজেলা নির্বাচনে কঠোর নির্দেশনা অ্যানেসথেসিয়ার ওষুধ পরিবর্তন করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের এক ইসরাইলির পুরস্কার গ্রহণ করে ড. ইউনূস গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী একই পরিবারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই কার্ড ৮ বছরে চাল পাইনি এক ছটাক! রায়গঞ্জে কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ পূনঃগঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত সোনার বাংলা এসএসসি ২০০০ ব্যাচের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রোজাদার ও শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ

শ্রীলঙ্কা ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মডেল’ অনুসরণ করতে পারে

কলমের বার্তা / ১৫৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২২ মে, ২০২২

শ্রীলঙ্কা তাদের চরম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মডেল’ অনুসরণ করতে পারে। শুক্রবার কম্বোডিয়ার সংবাদপত্র ‘খেমার টাইমস’ এ প্রকাশিত কলকাতার অধিবাসী জন রোজারিও’র লেখা একটি নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের এক বিস্ময় এবং এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান যা অর্থনৈতিক সূচক অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে। তিনি বাংলাদেশকে বাস্কেট কেস থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন।

ওই লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ মডেলের পেছনে শক্তিশালী নেতৃত্ব অন্যতম প্রধান কারণ। শ্রীলঙ্কা বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে এ মডেল অনুসরণ করতে পারে। নিবন্ধ অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এতটাই কমে গেছে যে, আমদানি করা কাগজের অভাবে কিছু স্কুলের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি কেরোসিন ও পেট্রলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে তার সামনে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরেন। জনগণকে সফলভাবে সংকট মোকাবিলায় তার দৃঢ় সংকল্পের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি সমাধানে পৌঁছাতে সব দলের সমন্বয়ে একটি জাতীয় পরিষদ গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।

নিবন্ধে বলা হয়, ‘তার জন্য একটি উদাহরণ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল অনুসরণ করে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেন।’ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ বেকারত্ব এবং সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের ঘাটতির কারণে, অনেক শ্রীলঙ্কাবাসী বিদেশে উন্নত জীবনের আশায় দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে শ্রীলঙ্কা সরকার প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে নতুন করে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। শ্রীলঙ্কা যখন সমস্যার সম্মুখীন হয়, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ২৫০ মিলিয়ন ঋণ দিয়েছিল। এটি ছিল কোনো দেশের জন্য বাংলাদেশের প্রথম ঋণ। তারা আবারও বাংলাদেশের কাছে ঋণ চেয়েছে।

শ্রীলঙ্কা মানবসম্পদ এবং অভ্যন্তরীণ সমৃদ্ধিতে যথেষ্ট সক্ষম ছিল। তাহলে তাদের এ অবস্থা কেন? এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের জন্য শ্রীলঙ্কা তাদের দেশে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, রাস্তা এবং অন্যান্য প্রকল্প যা বর্তমানে অপ্রয়োজনীয় ও  বাহুল্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন সরকার দেশ-বিদেশে বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়েছে। ফলে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়। বিদেশি বিনিয়োগের পরিবর্তে বিভিন্ন সরকার ঋণ গ্রহণে মনোযোগ দিয়েছে।

দেশটির সরকার অর্থ সংগ্রহের জন্য ২০০৭ সাল থেকে সার্বভৌম বন্ড জারি করেছে। কোন দেশের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে এই ধরনের সার্বভৌম বন্ড বিক্রি করা হয়ে থাকে। অর্থ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে এ ধরনের বন্ড বিক্রি করা হয়। শ্রীলঙ্কা সেটাই করেছে।

এক সময়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশটি কর হ্রাস, পর্যটন রেমিট্যান্স থেকে আয় হ্রাস এবং কৃষিতে অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারণেও মারাত্মক সংকটে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। এ সময়ে যে কোনো দেশ নতুন সংকটে পড়তে পারে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের বিস্ময়। শেখ হাসিনার অবদানই বাংলাদেশের মতো একটি স্বল্পোন্নত দেশকে অর্থনৈতিক সূচকে এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে। তিনি বাংলাদেশকে বাস্কেট কেস থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। ‘বাংলাদেশ মডেল’-এর সাফল্যের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ শক্তিশালী নেতৃত্ব। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গ্রামেও শহরের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন এক সময় ছিল অকল্পনীয়।

মানব উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ২০১৯ সালে দেশে গড় আয়ু ছিল ৭২.৬ বছর, যা ২০০০ সাল থেকে ৭ বছর বেশি। স্কুলে পড়ার বছর ৪.১ থেকে ৬.২-এ পৌঁছেছে এবং দেশের মানব উন্নয়ন সূচকের মান ২০০০-এর ০.৪৭৮ থেকে ২০১৯-এ ০.৬৩২-তে উন্নীত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের সূচক র‌্যাঙ্কিং এখন মোট ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৩৩তম।

শেখ হাসিনার সরকারের অর্থনৈতিক স্বীকৃতি নিয়ে কেউ বিতর্ক করে না-এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রত্যয়িত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান তালিকার সর্বশেষ সদস্য। চীন, ভিয়েতনাম ও ভারতকে ছাড়িয়ে এডিবি বাংলাদেশকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুততম বিকাশমান অর্থনীতি হিসেবে স্থান দিয়েছে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ফিরে আসেন, শেখ হাসিনা জানতেন যে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার আগে প্রথমে বিদ্যুতের ঘাটতি সহনীয় মাত্রায় প্রশমিত করা দরকার। একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে তিনি বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে ছোট-পরিসরের পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা ‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে পরিচিত। সিদ্ধান্তটি অনেক মহল থেকে সমালোচনা ও বাধা পেয়েছে- বিরোধী দল এবং অর্থনীতিবিদ থেকে প্রেস এবং থিঙ্ক ট্যাংক পর্যন্ত- আমলাতন্ত্রের অনেককে ভয় দেখিয়েছিল।

কিন্তু শেখ হাসিনা যেটিকে সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করেন তা থেকে পিছিয়ে যেতে রাজি হননি। তিনি তার সিদ্ধান্তকে জোরালোভাবে রক্ষা করেছেন। যে কোনো আইনি অস্পষ্টতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনেছেন এবং এর বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করেছেন। প্রায় ১০ বছর পর কেউ সন্দেহ করে না যে এ সব সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে সহায়ক ছিল।

ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, উচ্চশিক্ষা, টিভি এমনকি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সরকারি খাতের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে সংরক্ষিত অনেক খাত বেসরকারি খাতের জন্য খুলে দিয়েছেন। একই সময়ে তার সরকার জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে অবহেলিত অংশকে তুলে নেয়ার জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত ও সম্প্রসারিত করেছে এবং অর্থনীতির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন কৃষির জন্য ভর্তুকি বাড়িয়েছেন। তার উন্নয়ন দর্শন পুঁজিবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক গুণাবলির মিশ্রণ।

শক্তিশালী উৎপাদন খাত এবং অবকাঠামোতে ব্যাপক সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। অনেক ভাষ্যকার লক্ষ্যটিকে উচ্চাভিলাষী বলে অভিহিত করেছেন। এমনকি সরকারের কট্টর সমালোচকরাও এর যুক্তিসংগত কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে দু’বার ভেবেছেন।

আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। মহামারির আগেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ওপরে ছিল, ২০১৮-১৯ সালে পাকিস্তানের ৫.৮% এর তুলনায় এটি ছিল ৭.৮%। বিশ্বব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এবং ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ‘বিস্ময়কর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও পাকিস্তানের অর্থনীতির আকার প্রায় ২৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়ার পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা সম্ভব হয়েছে জনগণের কঠোর পরিশ্রম, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, এফডিআই প্রবাহ, নারীর ক্ষমতায়ন, অনন্য দারিদ্র্য বিমোচন মডেল এবং অর্থনীতির অন্তর্ভুক্তির কারণে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের সাফল্য: ‘বাংলাদেশ’ একটি ‘অলৌকিক সাফল্য’।

পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডেইলি টাইমস-এ ‘বাংলাদেশ-ফ্রম সিকিং টু ডোনেটিং এইড’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি অভিন্ন অপ-এডে, জন রোজারিও লিখেছেন, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা দেশের ভাবমূর্তি ও অবস্থান উন্নত করেছে।

বাংলাদেশকে এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের গ্রহীতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এটি এখন একটি ঋণদাতা ও দাতা দেশ।

এটি প্রমাণ হয় যে, কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ ছাই থেকে উঠতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক কারণের ভারসাম্য বজায় রেখে কীভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঋণমুক্তির ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।

শ্রীলঙ্কাকে চিকিৎসার প্রয়োজনে সহায়তা করে বাংলাদেশ দাতা দেশ হিসেবে তার যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে সংকটের সময়ে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ানোর ফলে সম্মান লাভ করেছে। বাংলাদেশ ২.৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জরুরি ওষুধ সরবরাহ করেছে।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য ঋণগ্রস্ত সুদানকেও বাংলাদেশ অনুদান দিয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কা ও সুদানকে সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তবে এমন কী ঘটল যে, বাংলাদেশ সবাইকে অবাক করেছে? অর্থনীতিবিদরা মনে করেন এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে: রপ্তানি, সামাজিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক দূরদর্শিতা।

অর্থনৈতিক দক্ষতার পাশাপাশি, আরও তিনটি বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে: সহানুভূতি, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং রাজনৈতিক ইচ্ছা।

আইএমএফের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, বাংলাদেশও গত বছর সোমালিয়াকে দারিদ্র্য মোকাবিলায় সহায়তার জন্য ৮০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি সবাইকে মুগ্ধ করে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কা ও সুদানকে আর্থিক সহায়তার প্রদানের ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও জনগণের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

আফগানিস্তানকে চিকিৎসা সহায়তা দিতেও সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ২০২১ সালের ডিসেম্বরেও আফগান জনগণকে মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দানের পাশাপাশি আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশ এখন চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।

মানবিকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ কি? বাংলাদেশ সহজভাবেই মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান করে, তখন বাংলাদেশ একটি মানবিক বিবেচনা সম্পন্ন জাতি হিসাবে দেশের ভাবমূর্তিকে সমুন্নত করেছে।

আরও অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগদানকারী প্রথম দেশগুলোর অন্যতম। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে সরবরাহ করা চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য হতে পারে, তবে সময়মতো সাড়া প্রদান অবশ্যই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ এখন ঋণদাতা ও দানকারী দেশে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো কেন স্বয়ংসম্পূর্ণ, দাতা, ঋণদাতা এবং অর্থনৈতিক বিস্ময় হতে পারে না? বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াকে অনেক কিছু শেখাতে পারে।

সূত্র: বাসস

89


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর